প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধুর মেলামেশা একেবারেই ভাল চোখে দেখতেন না যুবক। তাই রাগের বশে বন্ধুকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেন যুবক।
বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ নর্দমার পাইপের মধ্যে ফেলে দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়।
গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর এক সহযোগীকে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত ২১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন গান্ধী নগরের বাসিন্দা মণীশ ওরফে বিষ্ণু (২২) নামে এক যুবক। পরের দিন, অর্থাৎ ২২ অক্টোবর মণীশের বাবা ভগীরথ নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন থানায়।
তার পরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগপত্রে মণীশের বাবা জানান যে, কারোল বাগে গফর মার্কেটে একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করত তার ছেলে।
তিনি এ-ও জানান যে, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মণীশের গাড়িটি যে ভাবে পাওয়া গিয়েছে, তা সন্দেহজনক। গাড়িতে রক্তের দাগ ছিল।
অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। মণীশের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখে দুই যুবকের বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
রাজস্থানের চুরু এলাকার দুই যুবকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মণীশের। এ কথা জানার পরই সঞ্জয় বুচ্চা ও সীতারাম সুথার নামে ওই দুই যুবককে রাজস্থানের চুরু জেলা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। জেরায় ধৃতরা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় শেয়ার ব্রোকারের কাজে যুক্ত সঞ্জয়। জেরায় তিনি জানিয়েছেন যে, প্রেমিকার মাধ্যমে মণীশের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।
মণীশের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর তা পছন্দ করতেন না সঞ্জয়। প্রেমিকার সঙ্গে মণীশের মেলামেশা বন্ধ করতেই তাঁকে খুনের ছক কষেন বলে জেরায় জানিয়েছেন সঞ্জয়।
গত ২১ অক্টোবর দেখা করার জন্য মণীশকে ডেকে পাঠান সঞ্জয়। তার পর প্রতিবেশী যুবক সীতারামকেও ডেকে পাঠান। দেখা করার পর মণীশকে মদ্যপান করানো হয়।
এর পর প্রেমিকার ছবি ও ফোন নম্বর ডিলিট করতে চাপ দেওয়া হয় মণীশকে। কিন্তু তাতে রাজি হননি মণীশ।
এর পরই তাঁকে গাড়িতে রাখা দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর দেহ পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলার পরিকল্পনা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু দীপাবলি থাকায় রাস্তায় যানজট ছিল।
এই অবস্থায় প্রায় ২ ঘণ্টা দেহ নিয়ে এ দিক-ও দিক ঘোরাফেরা করেন সঞ্জয়রা। পরে একটি নর্দমার পাইপের মধ্যে তাঁর দেহ ফেলেন। তদন্তে নেমে পরে মণীশের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।