অঙ্কিতা রায়নাকে সরিয়ে ভারতের মহিলাদের সিঙ্গলস্ টেনিসে এক নম্বরে উঠে এসেছেন করমন কৌর থান্ডি।
২৩ অক্টোবর রবিবার কানাডার সাগুয়েনে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)-এর ডব্লু-৬০ ইভেন্ট জেতার পর করমন এই অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী হলেন।
এর আগে ২০১০ সালে এই জয় পেয়েছিলেন সানিয়া মির্জা।
ডব্লু-৬০ আইটিএফ ছিল করমনের কেরিয়ারের তৃতীয় সিঙ্গলস্ মুকুট। তার মধ্যে চলতি বছরেই দু’টি সিঙ্গলস্ খেতাব জিতেছেন তিনি।
২০১৮ সালে করমন হংকংয়ে তাঁর প্রথম সিঙ্গলস্ খেতাব জিতেছিলেন। তার পরে এই বছরের জুনে গুরুগ্রামে ডব্লু-২৫ টেনিস টুর্নামেন্টে জয়ী হন তিনি।
রবিবারের ম্যাচে কানাডার ক্যাথরিন সেবভকে হারিয়ে ডব্লু-৬০ আইটিএফ খেতাব জেতেন করমন।
করমনের এই সাম্প্রতিক জয়, তাঁর টেনিস কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় জয়। তাঁর জয়ের পর উইমেন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিএ) র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর র্যাঙ্ক ৯১ ধাপ এগিয়ে এসেছে। ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ে করমনের বর্তমানে র্যাঙ্ক ২১৭।
করমনের জয়ে অঙ্কিতা ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ র্যাঙ্ক নীচে নেমে ২৯৭তম স্থানে এসেছেন। নয় র্যাঙ্ক পিছিয়ে ৪১১তম স্থানে রয়েছেন রতুজা ভোঁসলে৷
করমনের জন্ম ১৯৯৮ সালের ১৬ জুন, নয়াদিল্লিতে।
মাত্র আট বছর বয়সে খেলাধুলা শুরু করেছিলেন করমন। করমনের বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই তাঁকে খেলা নিয়ে প্রচুর উৎসাহ জুগিয়েছেন।
রাউন্ডগ্লাস টেনিস অ্যাকাডেমি (আরজিটিএ) থেকে প্রশিক্ষণ নেন করমন। সেখানে তিনি দেশের অন্যতম নামী টেনিস প্রশিক্ষক আদিত্য সচদেবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রান্সের মৌরাতোগ্লু অ্যাকাডেমি থেকেও প্রশিক্ষণ নেন। সেখানে তিনি মাঝেমধ্যে ফরাসি টেনিস তারকা অ্যালাইজ কর্নেটের সঙ্গেও অনুশীলন করতেন।
কউর হলেন ষষ্ঠ ভারতীয় মহিলা টেনিস খেলোয়াড়, যিনি ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ২০০ খেলোয়াড়ের মধ্যে জায়গা পেয়েছিলেন। বাকিরা হলেন নিরুপমা সঞ্জীব, সানিয়া মির্জা, শিখা ওবেরয়, সুনিথা রাও এবং অঙ্কিতা রায়না।
২৩ বছর বয়সি করমন ফেডারেশন কাপ এবং এশিয়ান গেমসেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
৬ ফুট লম্বা করমন বিধ্বংসী ফোরহ্যান্ড এবং জোরালো সার্ভের জন্য বিশেষ পরিচিত।
তবে কেউ যদি করমনের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলি দেখেন, তা হলে বোঝা দায় হবে যে অ্যাকাউন্টগুলি কোনও টেনিস খেলোয়াড়ের, না কোনও মডেলের!