INS Mormugao

চিনের চোখরাঙানি রুখতে ৩৫ হাজার ৮০০ কোটির রণতরী! কী কী রয়েছে এই যুদ্ধজাহাজে?

রবিবার ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে আইএনএস মুরমুগাও। এই যুদ্ধজাহাজে রয়েছে অত্যাধুনিক সুবিধা। রয়েছে একাধিক অস্ত্র।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:২৮
Share:
০১ ১৬

জলপথে চিনের সঙ্গে টেক্কা দিতে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। ধারে, ভারে, বহরে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সব ঠিক থাকলে রবিবারই ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ধবংসরকারী রণতরী আইএনএস মুরমুগাও।

ছবি সংগৃহীত।

০২ ১৬

গোয়া মুক্তি দিবসের প্রাক্কালে আগামী ১৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে মাজাগন ডকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হাত ধেরে ভারতীয় নৌবাহিনীতে এই নতুন রণতরীর যাত্রা শুরু হওয়ার কথা।

ছবি সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৬

৭ হাজার ৪০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজের নাম গোয়ার ঐতিহাসিক বন্দর শহর মুরমুগাওয়ের নামে রাখা হয়েছে। জলে ভাসার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

ছবি সংগৃহীত।

০৪ ১৬

যে প্রেক্ষাপটে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে এই অত্যাধুনিক রণতরী, তা তাৎপর্যপূর্ণ। পূর্ব লাদাখের পর সম্প্রতি অরুণাচলে তাওয়াংয়ে আগ্রাসন দেখিয়েছে লাল ফৌজ। দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

ছবি সংগৃহীত।

০৫ ১৬

আবার, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে চিনা সক্রিয়তা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নৌবাহিনীতে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এই রণতরীর আগমন গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি সংগৃহীত।

০৬ ১৬

শত্রুপক্ষকে বিনাশ করতে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে এই রণতরীতে। আইএনএস মুরমুগাও দৈর্ঘ্যে ১৬৩ মিটার। চওড়া ১৭ মিটার।

ছবি সংগৃহীত।

০৭ ১৬

আইএনএস মুরমুগাওয়ে রয়েছে ‘স্টেলথ প্রযুক্তি’। এই প্রযুক্তি থাকায় রেডার বা অন্য কোনও পদ্ধতিতে এই যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি ধরা পড়বে না। তবে এই প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিপক্ষের জাহাজের গতিবিধি দেখা যাবে। যার ফলে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে এই ধরনের যুদ্ধজাহাজ বাজিমাত করতে পারে বলেই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ছবি সংগৃহীত।

০৮ ১৬

রণতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। আইএনএস মুরমুগাওতে রয়েছে ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৯০ কিমি থেকে ৪৫০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।

ছবি সংগৃহীত।

০৯ ১৬

এ ছাড়াও এই যুদ্ধজাহাজে রয়েছে ৭০ কিমি মাঝারি পাল্লার ‘সার্ফেস টু এয়ার’ (স্থলভাগ থেকে আকাশসীমা) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা, টর্পেডো, রকেট লঞ্চার ও নানা ধরনের বন্দুক। জাহাজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেডার।

ছবি সংগৃহীত।

১০ ১৬

ভারতে তৈরি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলির মধ্যে অন্যতম আইএনএস মুরমুগাও। পারমাণবিক হামলা বা জৈব হামলা চালালেও এই রণতরীর কিছু হবে না বলেই দাবি করা হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত।

১১ ১৬

চারটি শক্তিশালী গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত এই ধরনের যুদ্ধজাহাজের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৩০ নট (ঘণ্টায় ৫৫ কিমির থেকেও বেশি)।

ছবি সংগৃহীত।

১২ ১৬

আইএনএস মুরমুগাও ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘প্রজেক্ট ১৫বি’-র আওতায় তৈরি দ্বিতীয় রণতরী। যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম তৈরি হয়েছিল আইএনএস বিশাখাপত্তনম। যার সূচনা হয় ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে।

ছবি সংগৃহীত।

১৩ ১৬

ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘প্রজেক্ট ১৫ বি’তে অধিকাংশ দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ‘স্টেলথ জাহাজ’ তৈরি করা হয়। ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর অন্যতম জ্বলন্ত উদাহরণ এটি।

ছবি সংগৃহীত।

১৪ ১৬

এই প্রকল্পে মোট চারটি জাহাজ রয়েছে। সবক’টি জাহাজেরই নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো’। এই জাহাজগুলি তৈরি করেছে মুম্বইয়ের মজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড।

ছবি সংগৃহীত।

১৫ ১৬

এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি অপর দুই রণতরী আইএনএস ইম্ফল ও আইএনএস সুরতকে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে ২০২৩-২৪ সালে।

ছবি সংগৃহীত।

১৬ ১৬

ভারতীয় নৌবাহিনীর এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আইএনএস মুরমুগাওয়ের অন্তর্ভুক্তিতে আরও শক্তিশালী হবে বাহিনী। শত্রু মোকাবিলায় আরও এক কদম এগোবে নৌবাহিনী।

ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement