খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনা পেতে চলেছে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ধ্বংসকারী সুপার র্যাপিড গান মাউন্ট (এসআরজিএম)। হরিদ্বারে ভারত হেভি ভেহিক্যালস লিমিটেড (ভেল)-এর সঙ্গে এই সুপার গান নিয়ে চুক্তি হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের জন্য ভেল-এর সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চুক্তি হয়েছে প্রায় ২৯৫৭ কোটি টাকার। এই সুপার গান হল স্বয়ংক্রিয় কামান। কামান হলেও এর গোলার আকার অন্যান্য কামানের চেয়ে ছোট।
এই সুপার গানের নকশা এবং প্রথম বানিয়েছিল ইটালির সংস্থা ওটিও মেলারা। এটি এমন এক ধরনের বন্দুক যেটিকে অ্যান্টি মিসাইল পয়েন্ট ডিফেন্স, অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট, অ্যান্টি সারফেস অ্যান্ড গ্রাউন্ড সাপোর্ট হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
এই বন্দুকে বিভিন্ন রকমের গুলি ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে, আর্মর পিয়ার্সিং, ইনসেনডেয়ারি, ডায়রেক্টেড ফ্র্যাগমেন্টেশন এফেক্টস।
এই সুপার গানের ওজন সাড়ে ৭ টন। এর ব্যারেল ৬২ ক্যালিবার এবং ১৮৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। এই বন্দুকের গুলির আকার ৭৬x৬৩৬এমএমআর।
সুপার গানের এক একটি গুলির ওজন সাড়ে ১২ কেজি। গুলির খোলের ওজন ৬ কেজি ৩০০ গ্রাম।
এই বন্দুকের নল মাইনাস ১৫ ডিগ্রি থেকে ৮৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। ফলে লক্ষ্যবস্তু যে কোণেই থাকুক না কেন, দক্ষতার সঙ্গে হামলা করতে পারে এই সুপার গান।
কমপ্যাক্ট মোডে এই বন্দুক থেকে মিনিটে ৮৫ রাউন্ড গুলি বেরোয়। মিনিটে ১২০ রাউন্ড গুলি বেরোয় সুপার র্যাপিড মোডে।
এই বন্দুকের গুলির গতিবেগ সেকেন্ডে ৩ হাজার ফুট। ফলে চোখের পলকে লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
১৬-৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই সুপার গান।
নৌসেনার হাতে ১৬টি এই ধরনের সুপার গান তুলে দেওয়া হবে। নৌসেনার নতুন রণতরীগুলিতে এই সুপার গান মোতায়েন করা হতে পারে বলে সেনা সূত্রের খবর।