চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বলি অভিনেতা সুনীল শেট্টির কন্যা আথিয়া শেট্টির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল। হবু জামাইয়ের বিপদে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুনীল।
২০১৯ সালে বলি পরিচালক কর্ণ জোহরের রিয়্যালিটি শোয়ে অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন রাহুল। অতিথি হিসাবে রাহুলের সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্যও।
কর্ণের শোয়ে অতিথি হিসাবে এসে পরিচালককে সরাসরি অপমান করেন রাহুল। প্রশ্নোত্তর পর্বে রাহুলকে কর্ণ জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন হিন্দি সিনেমা তাঁর ভাল লাগেনি।
কর্ণের প্রশ্নের জবাবে রাহুল ভাবনাচিন্তা না করেই ‘ধড়ক’ ছবির নাম করেন। জাহ্নবী কপূর এবং ইশান খট্টর অভিনীত ‘ধড়ক’ ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন কর্ণ।
রাহুলের জবাব শুনে কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যান কর্ণ। পরিচালক ভাবতেই পারেননি যে রাহুল শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রযোজিত ছবির নাম নেবেন।
‘ধড়ক’ ছবিটি কেন ভাল লাগেনি তা-ও বলতে চেয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু আর কথা বাড়তে না দিয়ে তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দেন কর্ণ। তার পর রাহুলকে জানান যে ‘ধড়ক’ ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি নিজেই।
রাহুলের জবাব শুনে অপ্রস্তুত হয়ে যান কর্ণ। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্বে একচুলও জায়গা ছাড়েননি কর্ণ। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন রাহুল এবং হার্দিককে।
কর্ণের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিপদে পড়েন রাহুল এবং হার্দিক। অধিকাংশের মতে, শোয়ে তাঁরা নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন, যা একেবারেই অনুচিত।
হার্দিক এবং রাহুলের বিষয়টি ‘বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া’র (বিসিসিআই) নজরে আসে। দুই ক্রিকেটারের কাছে শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়। তাতে বলা হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে।
রাহুল এবং হার্দিক দু’জনেই জানান, তাঁরা উত্তেজনার বশে মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। সমাজে কোনও খারাপ উদাহরণ তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁদের। এমনকি সমাজমাধ্যমে ক্ষমাও চান দু’জন।
রাহুল এবং হার্দিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিসিসিআই। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন সুনীল শেট্টি। তখনও সুনীলের কন্যা আথিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়নি রাহুলের।
সুনীল এক সাক্ষাৎকারে জানান, রাহুল এবং হার্দিকের কোনও দোষ নেই। শোয়ে এমন কিছু প্রশ্ন করে অতিথিদের উত্তেজিত করা হয় যে তাঁরা কী উত্তর দিচ্ছেন তার হুঁশ থাকে না।
জোধপুর হাই কোর্টে রাহুল এবং হার্দিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তিন বছর পর সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পান তাঁরা। তবে বিসিসিআইকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয় তাঁদের।