অভাবে কেটেছিল ছোটবেলা। ছিল শুধু জেদ। ছিল সাফল্যের খিদে। তাই না-পাওয়াগুলোকে পাওয়াতে পরিণত করেছেন জয় চৌধরি। তিনি দেশের অন্যতম ধনী আইআইটি পাশ পড়ুয়া।
হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার ছোট একটি গ্রামে জন্মেছিলেন জয়। গ্রামের নাম পানোহ্। সেখানে না ছিল বিদ্যুৎ, না কলের জল।
ছোটবেলায় এ সব কিছু দেখেই বড় হয়েছেন জয়। বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। কলের জলও ছিল না। কিন্তু জেদ ছিল। ছোটবেলাতেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, এই অভাবগুলোকে বাধা হতে দেবেন না।
জয়ের ভবিষ্যতের উপর ছায়া ফেলতে পারেনি তাঁর অতীত। সফল হয়েছিলেন তিনি।
ছোট থেকে পড়াশোনায় ভাল ছিলেন জয়। বারাণসীর আইআইটি-বিএইইউ থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন তিনি।
এর পর হার্ভার্ড বিজ়নেস স্কুলে এগ্জ়িকিউটিভ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম করেন। প্রথম থেকে ইচ্ছা ছিল, নিজের কিছু করবেন। করেছেনও তা-ই।
১৯৯৭ সালে জয় তৈরি করেন নিজস্ব সংস্থা। তাঁর সংস্থা সাইবার নিরাপত্তা দিত বিভিন্ন সংস্থাকে।
তাঁর এই সংস্থা হল ডেটা সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্টি স্প্যাম ইমেল সফ্টঅয়্যার সংস্থাও চালু করেছিলেন জয়।
এর পর একে একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক সংস্থা খুলেছিলেন জয়। সেগুলি তাঁর দূরদর্শিতাই প্রমাণ করে।
জয়ের শেষতম উদ্যোগ হল ‘জ়েডস্কেলার’। ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ এটি নিউ ইয়র্কের শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়েছে।
এখন এই সংস্থার মূল্য ২৮০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা।
জয় চান, সাধারণ মানুষ যাতে সুরক্ষিত ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে মানুষ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে চান তিনি।
পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেন জয়। ব্লুমবার্গের কোটিপতি সূচক বলছে, ১৪ জুন পর্যন্ত জয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ১১০০ কোটি আমেরিকান ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯১ হাজার কোটি টাকা।
আইআইটি থেকে যত ছাত্র এখনও পর্যন্ত পাশ করে উদ্যোগপতি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে ধনী হলেন জয়। এই তালিকায় রয়েছে ‘সিন্টেল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ভারত দেশাই, ‘ইনফোসিস’-এর প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি, নন্দন নিলেকানির নামও।