২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। গত ৩১ জুলাই ছিল শেষ তারিখ। তবে যাঁরা আয়কর রিটার্ন দিতে পারেননি, বা তারিখ ভুলে গিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য আবার সুযোগ থাকছে। তবে দিতে হবে জরিমানা।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সর্বমোট পাঁচ কোটি ৮৩ লক্ষ আয়কর রিটার্নের আবেদন পেয়েছে তারা। তার মধ্যে শেষ দিনের সংখ্যাই ছিল প্রায় সাড়ে ৭২ লক্ষ।
যাঁরা আইটিআর জমা করেননি, তাঁদের জন্য সময় থাকছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে তার জন্য জরিমানা দিতে হবে। বাৎসরিক আয় অনুযায়ী, এই জরিমানার অঙ্ক হতে পারে পাঁচ হাজার টাকা!
কোনও ব্যক্তির এক অর্থবর্ষে আয় আড়াই লক্ষ টাকার কম হলে তাঁকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হয় না।
যাঁদের বয়স ৬০ বছরের কম, কিন্তু ৪০ বছরের বেশি তাঁদের এক অর্থবর্ষে আয় তিন লক্ষ টাকার কম হলে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হয় না।
যদি কোনও ব্যক্তির আয় ছাড়ের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে, তবুও বিভিন্ন ছাড় (বাড়ি ভাড়া, ঋণ ইত্যাদি) দেখিয়ে আয় করযোগ্য পরিমাণের নীচে চলে আসা যায়, সে ক্ষেত্রেও ওই ব্যক্তিকে কোনও কর দিতে হবে না।
কোনও ব্যক্তির এক অর্থবর্ষে আয় পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি এবং তিনি যদি ৩১ জুলাইয়ের পর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত আইটিআর দিতে চান, সে ক্ষেত্রে ‘লেট ফি’ দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা।
তবে কারও আয় যদি করযোগ্য না হয়, সে ক্ষেত্রেও আয়কর রিটার্ন জমা করা উচিত। একে বলা হয় শূন্য আয়কর রিটার্ন। এ ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানিয়ে দিতে হয় যে, আয় কম হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষের কর দেওয়া হয়নি।
কোনও ব্যক্তির টিডিএস বা টিসিএস হয় ২৫ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি হলে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া কারও সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি থাকলে তাঁকেও আয়কর রিটার্ন দিতে হয়।