মুক্তি পাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বক্স অফিসে বিপুল ব্যবসা করেছে সানি দেওল এবং অমিশা পটেল অভিনীত ‘গদর ২’। মুক্তির ন’দিনের মাথায় বক্স অফিস থেকে ৩৩৬ কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলেছে অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ‘গদর’ ছবির প্রথম পর্ব মুক্তির পর দু’দশক পেরিয়ে গেলেও ‘গদর ২’ দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড়ের নেপথ্যে অন্যতম কারণ তারা এবং সাকিনার জুটি।
২২ বছর আগে ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিতে সানি এবং অমিশা দু’জনেই তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন বড় পর্দায় এত নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছিলেন যে সে টানেই ‘গদর ২’ দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় উপচে পড়েছে।
শুধুমাত্র সানি এবং অমিশার জু়টিই কি একমাত্র? বলি তারকারা অভিনয়সূত্রে বড় পর্দায় জু়টি হিসাবে তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন এমন ভাবে তুলে ধরেছেন যে তাঁদের কারণেই ছবি হিট হয়েছে বলে বলিপাড়ার একাংশের দাবি।
দর্শক শুধু অমিশার সঙ্গে সানির জুটিই পছন্দ করেননি, অমিশার সঙ্গে হৃতিক রোশনের জুটিও মনে ধরেছিল দর্শকের। ২০০০ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল অমিশা এবং হৃতিকের কেরিয়ারের প্রথম ছবি ‘কহো না... প্যার হ্যায়’।
১০ কোটি টাকা বাজেটের ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। হৃতিক এবং অমিশার জু়টি এতটাই হিট করেছিল যে সিনেপ্রেমীরা এই জু়টিকে আবার বড় পর্দায় দেখতে চান।
২০০২ সালে আবার হৃতিক এবং অমিশাকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়। বিক্রম ভট্টের পরিচালনায় ‘আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে’ ছবিটিতে অভিনয় করেন হৃতিক এবং অমিশা।
১১ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ‘আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। মুক্তির পর দু’কোটি টাকার ব্যবসা করে বিক্রম ভট্ট পরিচালিত ছবি। তার পর হৃতিক এবং অমিশাকে আর কখনও একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
সত্তরের দশকে ‘শোলে’ ছবিতে বীরু-বসন্তির জুটিও দর্শকের পছন্দ হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি হিট হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ ছিল বড় পর্দায় ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে হেমা মালিনীর জুটি। অবশ্য বড় পর্দার পাশাপাশি বাস্তবেও দুই তারকা গাঁটছড়া বেঁধেছেন।
১৯৮৯ সালে সুরজ বরজাতিয়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবিটি। এই ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রী। এই ছবিতে সলমন এবং ভাগ্যশ্রীর জুটির জন্য ছবিটি দর্শকের মনে ধরে এবং বক্স অফিসেও হিট করে দুই তারকার কেরিয়ারের প্রথম ছবি।
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ক্যাটরিনা কইফের জুটিও বড় পর্দায় কম কিছু সাড়া ফেলেনি। ‘হম কো দিওয়ানা কর গয়ে’, ‘নমস্তে লন্ডন’, ‘সিং ইজ় খান’, ‘তীস মার খান’, ‘দে দনা দন’, ‘ওয়েলকাম’ এবং ‘সূর্যবংশী’র মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছে বড় পর্দায় দর্শকের এই প্রিয় জুটি।
পেশাগত সূত্রে পরিচয় হলেও বাস্তবে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রণবীর কপূর এবং দীপিকা পাড়ুকোন। দুই তারকার সম্পর্ক না টিকলেও বড় পর্দায় তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের মনে জায়গা করে রেখেছে।
‘বাঁচনা এ হাসিনো’ থেকে শুরু করে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ এবং ‘তামাশা’র মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রণবীর এবং দীপিকাকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ফিল্ম সিরিজ়ে রণবীরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে দীপিকাকে। দীপিকার বিপরীতে অভিনয় করবেন অভিনেত্রীর বাস্তবের জীবনসঙ্গী রণবীর সিংহ।
বলিপাড়ায় বহু তারকা বড় পর্দায় জুটি বাঁধলেও শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজলের জুটি যেন হিন্দি ফিল্মজগতে ‘এভারগ্রিন’ হয়ে রয়ে যাবে। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে রাজ-সিমরনের জুটিতে অভিনয় করে শাহরুখ এবং কাজল দু’জনেই নজর কেড়েছিলেন।
‘বাজিগর’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘মাই নেম ইজ় খান’ এবং ‘দিলওয়ালে’র মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ এবং কাজলকে। বড় পর্দায় দুই তারকার সম্পর্কের রসায়নই যেন সেই ছবির অন্যতম মূল রসদ হয়ে দাঁড়ায়। এখনও শাহরুখ এবং কাজলের জুটি বেঁধে অভিনয় দেখার জন্য কৌতূহলী দর্শক।