Israel-Palestine Conflict

হামাস এত শক্তিশালী হল কী ভাবে? এত অস্ত্র, অর্থ জোগান দিচ্ছে কারা?

মুহুর্মুহু রকেট হামলা, গুলি, মর্টারের শব্দে গত শনিবার থেকে ভরে উঠেছে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের আকাশ-বাতাস। তিন দিন কেটে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও নাম নেই। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
তেল আভিভ শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৯
Share:
০১ ১৫

মুহুর্মুহু রকেট হামলা, গুলি, মর্টারের শব্দে গত শনিবার থেকে ভরে উঠেছে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের আকাশ-বাতাস। শনিবার থেকে যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র বাহিনী হামাসই শনিবার প্রথম আঘাত হানে ইজ়রায়েলে। আকাশ, স্থল এবং জলপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালায় ইজ়রায়েলে। তিন দিন কেটে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও নাম নেই। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৫

হামলার জোরদার জবাব দিচ্ছে ইজ়রায়েলও। পুরো গাজ়া ভূখণ্ডকে অবরুদ্ধ করে ফেলে চার দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে তারা। হামাসের গোপন ডেরাগুলি চিহ্নিত করে একের পর এক রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ওরা (হামাস) যুদ্ধ শুরু করেছে। শেষ করে ছাড়ব আমরা।” সব মিলিয়ে এই লড়াইয়ে গত তিন দিনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৫

এই যুদ্ধ ঘিরে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এত শক্তিশালী গোয়েন্দাবাহিনী, অত্যাধুনিক অস্ত্রভান্ডার এবং ইজ়রায়েলের মতো এত শক্তিধর দেশে হামাস এ রকম জোরালো হামলা চালাতে পারল কী করে? কী করেই বা ইজ়রায়েলের অত্যাধুনিক অস্ত্রের মুখে পড়েও পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে তারা। কোথা থেকে পাচ্ছে তারা এত ক্ষমতা, এত অস্ত্র?

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৫

ইজ়রায়েলের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের টানাপড়েন দীর্ঘ কয়েক দশকের। হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলি সেনার সংঘর্ষও নতুন কোনও ঘটনা নয়। যে গাজ়াকে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, সেই গাজ়া ভূখণ্ড এই হামাস জঙ্গি সংগঠনের দখলে। ইজ়রায়েলকে ধ্বংস করাই এদের মূল লক্ষ্য। বেশ কয়েক বার তাদের সঙ্গে যুদ্ধও হয়েছে হামাসের।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৫

১৯৮৭ সালে তৈরি হয় হামাস বাহিনী। ২০০৭ সালে গাজ়া ভূখণ্ড নিজেদের কব্জায় নেয় হামাস। আর সেখান থেকেই ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ চালাচ্ছে তারা। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং আল আকসা মসজিদ ইজ়রায়েলের দখলে। আর এই দুই জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে আসার জন্য বার বার ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে হামাস।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৫

কিন্তু ইজ়রায়েলের মতো শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রসদ কোথা থেকে পাচ্ছে হামাস? এই প্রশ্নই নানা মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়, হামাসকে শক্তিশালী বানাতে বেশ কিছু দেশের সহযোগিতা রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, বিপুল আর্থিক সহযোগিতাও করা হয় এই বাহিনীকে। হামাসকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করার নেপথ্যে যে দু’টি দেশ তালিকার শীর্ষ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, সেই দু’টি দেশ হল— ইরান এবং তুরস্ক।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৫

আর্থিক সহযোগিতা হোক কিংবা অস্ত্র— দীর্ঘ সময় ধরে এই দু’টি দেশ নাকি হামাসের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি সূত্র মারফৎ এমনও দাবি করা হচ্ছে যে, হামাসের হাতে ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার যে ভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫০০০ রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস, এত অস্ত্র কোথা থেকে পাচ্ছে তারা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই হামলাই ইরান এবং তুরস্কের সহযোগিতার দাবিকে প্রমাণ করছে বলেই মত বিভিন্ন মহলের।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৫

বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমি দুনিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে ‘ইসলামিক চ্যারিটি’র নামে তাদের অর্থ সহযোগিতা করছে। গাজ়া ভূখণ্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথরিটিজ়-এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা সেই অর্থ পৌঁছে যায় হামাসের হাতে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৫

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর)-এর রিপোর্ট বলেছে, গোপন রাস্তা এবং সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যে সব প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসে, সেগুলির উপর হামাসের চাপানো করের টাকাও তাদের বিপুল অর্থ ভান্ডারের উৎস। সেই করের মাধ্যমে বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় হয় হামাসের। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইরান এবং তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়াও হামাসকে সমর্থন করে।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৫

এক রিপোর্টে তো এমনও দাবি করা হয়েছে যে, হামাসকে আর্থিক ভাবে আরও মজবুত বানানোর নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ইরান। তারা ৭০ শতাংশ আর্থিক সহযোগিতা করে এই বাহিনীকে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর হামাসকে ১০ কোটি ডলার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৫

ইরান, তরুস্ক এবং সিরিয়া ছাড়াও হামসাকে সহযোগিতা করার পিছনে কাতারেরও নাম উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৫

বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইজ়রায়েলের তুলনায় ক্ষমতায় নগণ্য হলেও হামাস কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত। এই বাহিনীর এলিট ইউনিটকে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলও ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৫

হামাস বাহিনী অস্ত্র বানানোর ডেরা গড়ে তুলেছে গাজ়ায়। ইজ়রায়েল বহু বার অভিযোগ তুলেছে যে, হামাসের কাছে অস্ত্র বানানোর যে আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে, সেই প্রযুক্তি সরবরাহ করে ইরান। যদিও সেই দাবি বার বারই খণ্ডন করেছে তারা।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৫

ইজ়রায়েল হামাসের প্রতিটি গতিবিধি লক্ষ রাখলেও কী ভাবে এই হামলা চালাতে সক্ষম হল, তা নিয়ে নানা রকম তথ্য উঠে আসছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৫

বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে নয়, জনে জনে সংযোগ বাড়িয়ে হামলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল হামাস। কারণ তারা জানত, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইজ়রায়েল তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে। ফলে ইজ়রায়েলের গোয়েন্দারাও হামাসের এই পদক্ষেপ নজরবন্দি করতে পারেনি।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement