নব্বইয়ের দশকে বক্স অফিসে হিট করেছিল রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘দামিনী’ ছবিটি। এই ছবিতে অভিনয় করে সানি দেওল, ঋষি কপূর এবং মীনাক্ষী শেষাদ্রি বলিপাড়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই ছবির নায়িকা নির্বাচন নিয়ে দুই অভিনেতার মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল, তা জানেন কি?
‘দামিনী’ ছবির জন্য অভিনেতা হিসাবে প্রথমে সানিকে পছন্দ করেছিলেন রাজকুমার। সানির কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান পরিচালক। রাজকুমারের প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান সানি।
দ্বিতীয় এক জন অভিনেতার সন্ধানে ছিলেন রাজকুমার। জ্যাকি শ্রফকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু পরিচালকের প্রস্তাবে রাজি হননি জ্যাকি।
জ্যাকি রাজি না হলে ঋষি কপূরের কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান রাজকুমার। পরিচালকের প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান ঋষি। কিন্তু গোল বাধে নায়িকা নির্বাচনের সময়।
১৯৯০ সালে ‘ঘায়েল’ ছবি মুক্তির পর মীনাক্ষীর সঙ্গে রাজকুমারের সম্পর্কের সমীকরণ খুব একটা মধুর ছিল না বলে বলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যায়। সেই কারণে ‘দামিনী’ ছবিতে মীনাক্ষীকে চাননি রাজকুমার।
পরিস্থিতি লক্ষ করে রাজকুমারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সানি। সানি অনুরোধ করেন, ডিম্পল কপাডিয়াকে যেন ‘দামিনী’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয়।
কিন্তু সানির অনুরোধ শুনে বেঁকে বসেন ঋষি। ঋষি জানান, ‘দামিনী’ ছবিতে যদি ডিম্পল অভিনয় করেন, তবে তিনি সেই ছবি থেকে সরে যাবেন।
‘দামিনী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রীদেবীর কথাও ভাবেন রাজকুমার। কিন্তু তাতে আবার আপত্তি জানান সানি।
সানি জানান, দামিনী চরিত্রের জন্য শ্রীদেবী একদমই মানানসই নয়। যদিও ঋষি এই বিষয়ে কোনও মত জানাননি।
ঋষি এবং সানির মতের অমিলের মাঝে বিপদে পড়েন রাজকুমার। ‘দামিনী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য কোন বলি নায়িকাকে প্রস্তাব দেবেন, তা ঠাহর করে উঠতে পারছিলেন না রাজকুমার।
অগত্যা পেশার খাতিরে নিজের মান-অভিমানকে দূরে সরাতে বাধ্য হন রাজকুমার। ‘দামিনী’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান মীনাক্ষীর কাছে। রাজকুমারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান মীনাক্ষী।
১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘দামিনী’ ছবিটি। বক্স অফিসে চূড়ান্ত সফল হয় ক্রাইম ড্রামা ঘরানার এই ছবি।
তবে ‘দামিনী’ ছবির সাফল্যের পর বলিপাড়ায় রাজকুমার এবং মীনাক্ষীকে ঘিরে নানা রকম কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, রাজকুমার এবং মীনাক্ষী একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এই ফিল্মের পর সম্পর্ক পরিণতি পায়। দুই তারকা বিয়ের চিন্তাভাবনা করছিলেন বলে কানাঘুষো শোনা যায়।
পরে অবশ্য মীনাক্ষী জানান, রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। সবই রটনা।