Salim Javed

সেলিম-জাভেদ জুটি ছিল শুধু নামেই! কোন গোপন সত্য প্রকাশ্যে আনেন বলিপাড়ার ছবি নির্মাতারা?

দীর্ঘ ১২ বছর একসঙ্গে কাজ করার পর সেলিম এবং জাভেদ দু’জনে আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেন। ১৯৮২ সালে সেলিম-জাভেদ জুটি পেশাগত দিক দিয়ে ইতি টানে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ১৪:১২
Share:
০১ ১৫

টিনসেল নগরীতে সত্তর থেকে আশির দশকে ছবি নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল সেলিম-জাভেদ জুটি। সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার দু’জনে নিজেদের দক্ষতায় ছবি তৈরি করতেন। ‘শোলে’, ‘জঞ্জীর’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডন’-এর মতো একাধিক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছে এই জুটি।

০২ ১৫

সেলিম এবং জাভেদকে দেখলে মনে হত তাঁরা একে অপরের পরিপূরক। দু’জনের নাম পর্যন্ত আলাদা ভাবে উচ্চারণ করতেন না বলিপাড়ার অন্যান্য তারকা। কিন্তু তাঁদের জুটি সম্পর্কে গোপন সত্য ফাঁস করেছেন বলিউডের একাধিক ছবি নির্মাতা।

Advertisement
০৩ ১৫

বলি পরিচালক রমেশ সিপ্পি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেলিম এবং জাভেদ জুটির কাজের ধরন নিয়ে কথা বলেন। ‘শোলে’ ছবি পরিচালনার সময় সেলিম এবং জাভেদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন রমেশ। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে রমেশ জানান, সেলিম-জাভেদ জুটি শুধুমাত্র নামেই ছিল। আসলে সমস্ত কাজ করতেন এক জনই।

০৪ ১৫

রমেশের দাবি, ‘শোলে’ ছবির জন্য সমস্ত সংলাপ লিখেছিলেন জাভেদ। সেলিমের নাকি সেখানে কোনও রকম ভূমিকা ছিল না।

০৫ ১৫

এমনকি পরিচালককে চিত্রনাট্যের খসড়াও পড়ে শুনিয়েছিলেন জাভেদ একাই। সে দিনও জাভেদের সঙ্গে সেলিমকে দেখতে পাননি বলে জানান রমেশ। ‘শোলে’ ছবিতে সেলিমের চেয়ে জাভেদের অবদান বেশি ছিল বলে জানান রমেশ।

০৬ ১৫

চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রয়াত হয়েছেন বলিপাড়ার অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিক। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে সেলিম-জাভেদ জুটির সঙ্গে কাজ করেছিলেন সতীশ।

০৭ ১৫

শেখর কপূর পরিচালিত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির চিত্রনাট্যের দায়িত্বে ছিলেন সেলিম এবং জাভেদ। অনিল কপূর, শ্রীদেবী, অমরীশ পুরীর সঙ্গে এই ছবিতে কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সতীশ।

০৮ ১৫

‘মিস্টার ইন্ডিয়া’য় ক্যালেন্ডার চরিত্রে অভিনয় করে বলিপাড়ায় বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সতীশ। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে সতীশ জানিয়েছিলেন যে, শুটিংয়ের সেটে আগাগোড়া যত্ন নিয়ে সতীশকে তাঁর চরিত্রটি বুঝিয়েছিলেন জাভেদ।

০৯ ১৫

বলিপাড়ায় জাভেদের যাত্রার উপর ‘জাদুনামা: জাভেদ আখতার’স জার্নি’ নামে একটি বই লেখেন অরবিন্দ মান্দলোই। সেই বইতেও লেখা রয়েছে জাভেদের অবদানের কথা।

১০ ১৫

অরবিন্দের দাবি, জাভেদই সাধারণত বলি পরিচালকদের ছবির চিত্রনাট্যের খসড়া শোনাতে যেতেন। বলিপাড়ার অনেকের মতে, জাভেদ এমন ভাবে চিত্রনাট্যের খসড়া পাঠ করতেন যা শুনে মুগ্ধ হয়ে যেতেন পরিচালকেরা।

১১ ১৫

দীর্ঘ ১২ বছর একসঙ্গে কাজ করার পর সেলিম এবং জাভেদ দু’জনে আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেন। ১৯৮২ সালে সেলিম-জাভেদ জুটি পেশাগত দিক দিয়ে ইতি টানে। জুটি ভেঙে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক সাক্ষাৎকারে জবাব দেন সেলিম।

১২ ১৫

সেলিম বলেন, ‘‘এক সন্ধ্যায় আমি জাভেদের সঙ্গে দেখা করতে ওর বাড়ির সামনে গিয়েছিলাম। দেখা করার পর জাভেদ জানায় যে ও আর আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। আমি কিছুই বলিনি। ওর সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে আসছিলাম।’’

১৩ ১৫

সেলিমকে গাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে আসতে তাঁর সঙ্গে হাঁটছিলেন জাভেদ। কিন্তু সেই সময় জাভেদকে থামিয়ে সেলিম নাকি বলেছিলেন, ‘‘আমি নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারি।’’

১৪ ১৫

সেলিম জানান, জাভেদের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পর তাঁর কাছে অসংখ্য ফোন আসতে থাকে। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন তাঁদের বিচ্ছেদের ব্যাপারে জাভেদই বোধ হয় সকলকে জানিয়েছেন। তাই জাভেদকে ফোন করে সে কথা জিজ্ঞাসা করেন সেলিম। কিন্তু জাভেদ জানান, তিনি কাউকে কিছু জানাননি।

১৫ ১৫

সেলিম এবং জাভেদের জুটি ভেঙে যাওয়ার কারণ জানিয়েছিলেন সেলিম নিজেই। সেলিম বলেন, ‘‘জাভেদ চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি গানও লিখতে চাইছিল। কিন্তু আমি জাভেদকে তা করতে দিইনি। কারণ ওই কাজটা আমি করতে পারতাম না। ওকে বলেছিলাম গান লিখতে চাইলে ও আলাদা ভাবে সেই কাজ করতে পারে। তাই মনে হয় ও আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’’

সকল ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement