গৌতম আদানি এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। এ বার ধনীদের তালিকায় উঠে এলেন তাঁর দাদাও। ধনীতম অনাবাসী ভারতীয়দের তালিকায় নাম লেখালেন বিনোদ আদানি। বস্তুত, এখন অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ধনীতম ব্যক্তি বিনোদই।
গত এক বছরে ২৮ শতাংশ সম্পত্তি বাড়িয়েছেন বিনোদ আদানি। এলন মাস্কের পর দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হিসাবে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠ গুজরাতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আইএফএল ওয়েলথ্ হুরুন রিচ লিস্ট ২০২২’-এ বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী হিসাবে উঠে এসেছেন তাঁর দাদা বিনোদ।
তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে গৌতম আদানি এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি বেড়েছে ১৫.৪ গুণ। দাদা বিনোদ ও তাঁর পরিবারের গত এক বছরে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৫ গুণ।
গৌতম আদানির দাদার পুরো নাম বিনোদ শান্তিলাল আদানি। তিনি ব্যবসা শুরু করেন ১৯৭৬ সালে। মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যবসা ছড়িয়ে দেন বিনোদ। এখন তিনি দুবাইয়ের ব্যবসায়ী।
প্রথমে সিঙ্গাপুর পরে পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন বিনোদ আদানি। ১৯৯৪ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে দুবাইয়ে বসবাস শুরু করেন।
তথ্য বলছে, গত এক বছরে পর্যন্ত বিনোদ আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
বিনোদ এবং গৌতম, দুই ভাইয়ের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ১২,৬৩,৪০০ কোটি টাকা! যা ভারতের ৪০ শতাংশ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পত্তির সমান।
কাপড়ের ব্যবসা দিয়ে শুরু করলেও ক্রমশ বিভিন্ন রকম ব্যবসা শুরু করেন বিনোদ আদানি। চিনি, তেল, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, লোহার স্ক্র্যাপের ব্যবসার রয়েছে বিনোদ আদানির।
গৌতমের মতো তাঁর দাদা বিনোদও এখন জ্বালানি এবং নির্মাণ ব্যবসা শুরু করেছেন। তবে এই সব ব্যবসার কোনওটাই ভারতে করেন না তিনি। বিনোদের সব ব্যবসাই দুবাইয়ে।
হুরুন ইন্ডিয়ার তথ্য বলছে, গৌতম আদানি রয়েছেন প্রথম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে মুকেশ আম্বানী। তৃতীয় স্থানে সাইরাস পুণেওয়ালা।
গৌতম আদানির এখন এক দিনে আয় ১,৬১২ কোটি টাকা। এমনটাই বলছে হুরুন ইন্ডিয়ার তথ্য। গৌতমের দাদা বিনোদের প্রতি দিন আয় প্রায় ১০২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিনোদের সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৩৬,৯৬৯ কোটি টাকা।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্কের পরেই রয়েছেন গৌতম আদানি। কয়েক দিন আগেই সম্পদের নিরিখে অ্যামাজনের জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন গৌতম। ভাই অনেক এগিয়ে। তবে পিছিয়ে নেই দাদাও।