বড় পর্দায় টিনসেল নগরীর তারকারা দর্শকের মনে জায়গা করে নিলেও এই বলি তারকাদের অনেকেই দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডিও পার করেননি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, আলিয়া ভট্ট দশম শ্রেণিতে ৭১ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি।
২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আলিয়া। সে কারণে দ্বাদশ শ্রেণির পড়া মাঝপথেই থামিয়ে দেন অভিনেত্রী।
আলিয়ার স্বামী রণবীর কপূরও দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পার করতে পারেননি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, দশম শ্রেণিতে ৫৩.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছিলেন অভিনেতা।
দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করতে না পারলেও এক সাক্ষাৎকারে রণবীর দাবি করেন, কপূর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যত জন শিক্ষিত রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
বলি তারকাদের এই তালিকায় রয়েছেন কাজলও। ১৬ বছর বয়সে অভিনয় নিয়ে নিজের কেরিয়ারে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
রাহুল রাওয়ালির ‘বেখুদি’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন কাজল। তাই স্কুলের পড়াশোনাও শেষ করার সুযোগ পাননি তিনি।
বর্তমানে বলিপাড়ার সর্বাধিক উপার্জনকারী অভিনেত্রীদের তালিকায় প্রথম সারিতে নাম লিখিয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ। কেরিয়ারে সফল হলেও স্কুলজীবনের গণ্ডি পার করতে পারেননি তিনিও।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। ক্যাটরিনার মা সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোনও এক জায়গায় স্থায়ী ভাবে থাকেননি তিনি। সেই কারণে ক্যাটরিনা স্কুলজীবনের স্বাদও সম্পূর্ণ রূপে পাননি।
শৈশব থেকেই অভিনয় নিয়ে কেরিয়ারে এগিয়ে যাবেন বলে স্বপ্ন বুনেছেন কপূর পরিবারের কন্যা করিশ্মা কপূর। ১৬ বছর বয়সে হরীশ কুমারের বিপরীতে ‘প্রেম কয়েদি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি করিশ্মা। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির পর স্কুল ছেড়ে দেন অভিনেত্রী।
২০০৩ সালে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে সহ-পরিচালনার মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন অর্জুন কপূর। কেরিয়ারের প্রথম ন’বছর কখনও পরিচালনা কখনও বা প্রযোজনার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
২০১২ সালে ‘ইশকজাদে’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় অর্জুনকে। বলিপাড়া সূত্রে খবর, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি অভিনেতা।
চার বছর বয়স থেকেই বড় পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন শ্রীদেবী। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, মালয়ালম এবং কন্নড় ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী বলেছিলেন, ‘‘স্কুল এবং কলেজজীবন উপভোগ না করলেও আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করেছি। কখনও বিরতি নেওয়ার কথা ভাবিনি।’’