মঙ্গলবার নারী দিবসে সুখবরটি পেয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্কের পরিবার।
সেনায় যোগদানের বছর পাঁচেকের মধ্যে মেজর পদে উন্নীত হয়েছেন পোখরিওয়ালের মেয়ে শ্রেয়সী নিশঙ্ক। নেটমাধ্যমে সে কথা ঘটা করে জানিয়েছেন গর্বিত পিতা।
উত্তরাখণ্ডের প্রায় প্রতিটি পরিবারের অন্তত এক জন সদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সেই ‘ঐতিহ্য’ মেনেই সেনায় যোগ দিয়েছিলেন পোখরিওয়ালের মেয়ে। সে প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা।
পেশায় চিকিৎসক শ্রেয়সীকে আপাতত উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে সেনা হাসপাতালে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ২০১৮ সালে হরিদ্বার জেলার আর্মি মেডিক্যাল কর্পস-এর ওই হাসপাতালেই যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে বিদেশে মোটা বেতনের চাকরি করতেন শ্রেয়সী। সে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এর পর সেনায় যোগদান করেন।
শ্রেয়সীর কর্মক্ষেত্র বদলের পিছনে নাকি পোখরিওয়ালের ‘ইন্ধন’ ছিল। সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেদারনাথে মেয়ের সঙ্গে ট্রেকিং করার সময় তাঁকে সেনায় যোগদান করতে অনুরোধ করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবার কথা ঠেলতে পারেননি শ্রেয়সী।
বছর পাঁচেক আগে শ্রেয়সী যখন সেনায় কাজ শুরু করেন, সে সময়ও তা নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন পোখরিওয়াল।
সেনাবাহিনীর পোশাকে মেয়ের পাশে গর্বিত পিতার ছবিও দেখেছিল নেটমাধ্যমে। গত বছর নারী দিবসেও মেয়েকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর টুইট, ‘আমাদের মেয়েরা দেশের ভবিষ্যৎ। এক জন গর্বিত পিতা হিসাবে আমার মেয়ে শ্রেয়সীকে সেলাম জানাতে চাই।’
ভারতীয় সেনা তথা দেশসেবায় শ্রেয়সী যে নিজেকে উৎসর্গ করেছে, তা-ও উল্লেখ করেছিলেন পোখরিওয়াল।
শ্রেয়সীর পদোন্নতির খবর পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পোখরিওয়াল। মঙ্গলবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের দিনটি আমার কাছে অত্যন্ত গর্বে অভিভূত হয়ে যাওয়ার দিন। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মেজর পদে উন্নীত হয়েছেন শ্রেয়সী নিশঙ্ক।’
উত্তরাখণ্ডের ‘ঐতিহ্য’ মেনে শ্রেয়সী সেনায় যোগদান করলেও পোখরিওয়ালের অন্য মেয়ে আরুষি বেছে নিয়েছেন গ্ল্যামারের দুনিয়াকে।
অভিনয়ের পাশাপাশি কত্থক নাচে পারদর্শী আরুষি পরিবেশ নিয়েও সচেতনতা প্রসারের চেষ্টা করছেন।