বড়দিনের আমেজে মেতে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে পাকিস্তানে বড় খেলা, অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের টেস্ট। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই বড়দিনের অনুশীলনে পাকিস্তান শিবির থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা পেলেন ফুলের তোড়া ও উপহার।
বিপক্ষের থেকে এমন উপহার পেয়ে উজ্জ্বল অসি ক্রিকেটারদের মুখে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। কিন্তু এই ঘটনায় কেন জড়াল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম?
এই বিষয়ে অসন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার কেরি ও’কিফ। তিনি সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কি কোনও দিন স্টিভ ওয়ের হাতে বড়দিনের উপহার তুলে দিতেন?’’
অস্ট্রেলিয়াকে পাকিস্তান দলের উপহার দেওয়ার ঘটনায় খুশি হতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাও। তাঁদের মতে, ক্রিকেটে এত বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য কাম্য নয়।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল ভনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ও’কিফ বলেছেন, “মনে হচ্ছে এই সিরিজ়ে দু’দলের মধ্যে বড্ড বেশি বন্ধুত্ব দেখা যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে গেলে এত নরম মানসিকতা থাকলে চলবে কী করে? শুনলাম ওরা (পাকিস্তান) নাকি বড়দিনের উপহার পাঠিয়েছে।”
ও’কিফের সংযোজন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কি কোনও দিন স্টিভ ওয়ের উদ্দেশে বড়দিনের উপহার পাঠাতেন? কোনও মতেই নয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ভাবে খেলতে হবে। মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। এখন বড্ড বেশি আরামদায়ক ব্যাপারস্যাপার হচ্ছে। বড়দিনের উপহার দেওয়া কোনও মতেই উচিত হয়নি।”
সৌরভ এবং স্টিভের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়েছে অতীতে। কী ভাবে টস করার সময় সৌরভ দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন স্টিভকে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে অন্যতম আলোচনাই ছিল সৌরভ এবং স্টিভের দ্বৈরথ।
গত সোমবার অস্ট্রেলিয়া শিবিরে হাজির হয়েছিল পাকিস্তান। তাদের ক্রিকেটারদের হাতে ছিল উপহারের বাক্স এবং ক্যান্ডি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার এবং তাঁদের পরিবারদের হাতে উপহার তুলে দেন তাঁরা।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ সবার আগে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন বাবর আজম এবং পাকিস্তানের কোচিং স্টাফেরা।
মাসুদ এবং অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন। বাবরকে দেখা যায় উসমান খোয়াজার মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
পরে অস্ট্রেলিয়ার এক ওয়েবসাইটে কামিন্স বলেন, “দারুণ লাগছে এই উপহার পেয়ে। ছেলেমেয়েরা খুব খুশি হবে। পাকিস্তান দলের সঙ্গে আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক। দু’বছর আগে ওরা যখন এ দেশে এসেছিল তখনও অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। আমাদের পরিবারের ব্যাপারে ওরা আলাদা করে ভেবেছে এটা দেখেই ভাল লাগছে।”