সকালে এক কাপ কফি না খেলে ঘুম ভাঙে না? বাইরে বেরোলেই পিৎজা বা আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে? যদি জানতে পারেন এই খাবারগুলি কী ভাবে তৈরি হয় তার পরেও কি তা আপনার প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকবে?
পিৎজা কমবেশি সকলেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এই পিৎজার টপিং হিসাবে কেউ কেউ সসেজ খাওয়া পছন্দ করেন। পিৎজা তৈরি করার সময় দু’ধরনের সসেজ ব্যবহার করা হয়।
এক ধরনের সসেজ তৈরি করা হয় কোনও ব্যাকটেরিয়ার উৎসেচন পদ্ধতি ছাড়াই। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সসেজ তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়ার উৎসেচন পদ্ধতির মাধ্যমে। আর এই ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করা হয় শিশুদের মল থেকে।
এই দুই ধরনের সসেজের স্বাদ, বর্ণ, গন্ধের কোনও পার্থক্য নেই। তাই আপনি শিশুর মল থেকে তৈরি সসেজ দেওয়া পিৎজা নিজের অজান্তেই কখন খেয়ে ফেলেছেন তা বোঝাও মুশকিল।
চিজ খেতে কে না ভালবাসে? তবে এই চিজ নিয়ে গবেষণা করার পর নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। জীববিদ্যা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা আগাপাকিস এবং গন্ধ বিশেষ়জ্ঞ সিসেল টোলাস চিজ নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, এর মধ্যে মানবদেহ থেকে পাওয়া জীবাণু উপস্থিত রয়েছে।
১১ ধরনের চিজ কালচার করে তাঁরা জানিয়েছেন, মানুষের পায়ের আঙুলের ভাঁজে, নাভির ভিতর অথবা মুখের ভিতরে যে জীবাণু পাওয়া যায় তা চিজের মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে।
রোজ নিয়ম করে নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কিন্তু জানেন কি, এই মধু তৈরি হয় বমি থেকে?
আসলে মৌমাছির পেটের ভিতর নেকটর জমা হতে থাকে। এই নেকটর আসলে একটি তরল যা মৌমাছি ফুল থেকে সংগ্রহ করে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে যখন পেটে নেকটরের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন তা বমি করে বাইরে বার করে দেয় মৌমাছিরা। সেই নেকটর থেকে জল শুকিয়ে যাওয়ার পর মধু সংগ্রহ করা হয়।
ভুট্টা থেকে এক ধরনের বিয়ার তৈরি হয় যার নাম ‘চিকা’। এই বিয়ার প্রস্তুতিকরণের প্রক্রিয়াও অদ্ভুত। প্রস্তুতির সময় ভুট্টার দানাগুলি শ্রমিকরা থুতু দিয়ে ভেজানো হয়।
থুতুর মধ্যে যে উৎসেচক থাকে তা ভুট্টার মধ্যে থাকা স্টার্চের সঙ্গে মিশে এক ধরনের কেক তৈরি করে যা থেকে বিয়ার তৈরি করতে কাজে লাগে।
পান্ডার সঙ্গে বাঁশের সখ্য কতটা তা আমরা সকলেই জানি। পান্ডা বাঁশ খায় ঠিকই, কিন্তু তার ৩০ শতাংশ মাত্র হজম করতে পারে। বাকি মলের মাধ্যমে ত্যাগ করে দেয়। তবে, এই বাঁশের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগত উপাদান রয়েছে যা মানুষ খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
এই মলের মধ্যে মেশানো হয় গ্রিন টির চারা। এই চায়ের গুণাগুণ বেশি হওয়ার কারণও নাকি এটাই। পান্ডার মলের মধ্যে হজম না হওয়া বাঁশের এমন বহু উপাদান থাকে যা গ্রিন টির মধ্যে পাওয়া যায়।
দামি কফির উল্লেখ করলে সবার প্রথমে কোপি লুয়াক কফির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এই কফির গন্ধ দুর্দান্ত, ক্যাফিনের পরিমাণ কম। কিন্তু এই কফি মানুষ যখন-তখন খেতে পারেন না।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক বিশেষ প্রজাতির বিড়াল রয়েছে যা কোপি লুয়াক কফি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। পরে এই বিড়াল মল ত্যাগ করলে সেখান থেকে কফির বীজ সংগ্রহ করা হয়।
উন কুনো কুরো। জাপানের একটি বিয়ারের নাম। কফি বীজ থেকে এই বিয়ার তৈরি করা হয়। কিন্তু এই কফি বীজ সংগ্রহ করার পদ্ধতি আলাদা।
তাইল্যান্ডের ‘গোল্ডেন ট্রায়ঙ্গল এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন’ অঞ্চলে যে হাতি রয়েছে সেগুলি এক ধরনের কফি বীজ খায়। পরে হাতিগুলি মল ত্যাগ করলে সেখান থেকে কফি বীজ সংগ্রহ করা হয়। তা থেকে তৈরি হয় জাপানের এই বিয়ার।
আইসক্রিম থেকে শুরু করে পুডিং, চুইং গাম— এই খাবারগুলি ক্যাস্টোরিয়াম থেকে বানানো হয়। বিভারের শরীরে থাকা ক্যাস্টর থলি থেকে ক্যাস্টোরিয়াম তৈরি হয়।
পায়ুথলির কাছে এই ক্যাস্টর থলি থাকে। তাই ক্যাস্টোরিয়ামের সঙ্গে মল অথবা মূত্রের কিছু পরিমাণ উপস্থিত থাকে। ক্যাস্টোরিয়ামের গন্ধ একদম ভ্যানিলার মতো। তাই কিছু বানানোর সময় ভ্যানিলার গন্ধ আনতে এটি ব্যবহার করা হয়।