হ্যান্ডসাম পুলিশ বলতে আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করা বলিউড তারকাদের। সেই তালিকায় রয়েছেন, অজয় ‘সিংঘম’ দেবগন, রণবীর ‘সিম্বা’ সিংহ, অক্ষয় ‘সূর্যবংশী’ কুমার।
আরও আগে দেখতে গেলে অমিতাভ বচ্চন বা বিনোদ খন্না তো রয়েইছেন। কিন্তু শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও এমন সব পুলিশ অফিসার রয়েছেন যাঁরা রূপে, গুণে, চেহারায় টক্কর দিতে পারেন বলি নায়কদের।
এই সব পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে অন্যতম শচীন অতুলকর। মধ্যপ্রদেশে কর্মরত শচীন এক জন আইপিএস অফিসার।
ভারতের ‘সবচেয়ে সুদর্শন’ আইপিএস অফিসার হিসাবে পরিচিত শচীন। শুধু ভাল দেখতে বলে না, সুঠাম চেহারা এবং শরীরচর্চার জন্যও তিনি শিরোনামে থাকেন।
ছোটবেলা থেকেই শচীনের মেধা নিয়ে তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে সন্দেহের অবকাশ ছিল না। তা তিনি প্রমাণ করেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। ওই বয়সেই ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হন শচীন।
২০০৬ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হন শচীন। মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারায় ডিআইজি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।
৬ ফুট লম্বা শচীন সাধারণ জীবনযাপন করতেই পছন্দ করেন। দেশের প্রতি কর্তব্য এবং শরীরচর্চা— এই দুই নিয়েই তাঁর জীবন।
শরীরচর্চার পাশাপাশি, নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত করতেও শচীন বিশেষ ভাবে পারদর্শী।
সারা সপ্তাহে প্রায় ১৩-১৪ ঘণ্টা শারীরিক কসরত করেন শচীন। খেতে ভালবাসেন ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার।
প্রায় সব ধর্মের উৎসবেই সক্রিয় ভাবে অংশ নেন শচীন। উদ্যাপনও করেন। সেই সব ছবি তিনি মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন।
ইনস্টাগ্রামে অতুলের অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম না। প্রায় ১১ লক্ষ ইউজ়ার ইনস্টাগ্রামে তাঁকে ফলো করেন।
শোনা যায়, বিতর্কিত রিয়্যালিটি শো বিগ বসেও ডাক পেয়েছিলেন অতুল। তা-ও এক বার নয়, দু’-দু’বার। কিন্তু তিনি নাকি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
পোশাকের দিকেও বিশেষ নজর থাকে শচীনের। সবসময় ধোপদুরস্ত পোশাকে ফিটফাট থাকতেই তিনি বেশি পছন্দ করেন। আর সে কারণে তাঁকে ‘আধুনিক আইপিএস’ বলেও অনেকে সম্বোধন করেন।