Twin Tower

Noida twin tower Demolition: জোড়া বাড়ি ভাঙতে লাগল ১২টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সমান পরিমাণ বিস্ফোরক!

এ ভাবে ধ্বংস করার কাজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেরা ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষেও সম্ভব হত না। ক্ষেত্র বিশেষে এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্রেরও প্রয়োজন হতে পারত।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ১৭:৩১
Share:
০১ ১৫

যুদ্ধে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি ওড়ানোর ক্ষেপণাস্ত্র যদি বাড়ির পাশে এসে পড়ে, তার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে? রবিবার বাড়িতে বসেই তা হাড়ে হাড়ে বুঝলেন নয়ডার ৯৩এ সেক্টরের বাসিন্দারা।

০২ ১৫

নয়ডার ওই এলাকায় বেআইনি ভাবে নির্মিত জোড়া অট্টালিকা আপাতত ধুলো বালিতে পর্যবসিত। রাজধানী দিল্লির সুউচ্চ স্তম্ভ কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু দু’টি ইমারতকে ৩৫ হাজার কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ৩৫ হাজার কেজি বিস্ফোরকের ক্ষমতা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের থেকেও বেশি।

Advertisement
০৩ ১৫

রবিবার, ২৮ অগস্ট দুপুর আড়াইটেয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ধ্বংস করা হয়েছে ওই জোড়া ইমারত। বিস্ফারণের তীব্রতায় জোড়া অট্টালিকার চার পাশ দিয়ে ছিটকে বেরোতে দেখা গিয়েছে ইমারতের গুঁড়ো হয়ে যাওয়া টুকরো। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে ধুলোর মেঘে উবে গিয়েছে ৩২ ও ২৯ তলা উঁচু দু’টি ইমারত।

০৪ ১৫

এক সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, এত পরিচ্ছন্ন ভাবে ধ্বংস করার কাজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেরা ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষেও সম্ভব হত না। সে ক্ষেত্রে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের দরকার পড়ত। ক্ষেত্র বিশেষে এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্রেরও প্রয়োজন হতে পারত নয়ডার জোড়া অট্টালিকা ভাঙতে!

০৫ ১৫

বিস্ফোরক ব্যবহার করে নয়ডার বেআইনি নির্মাণ ধ্বংসের প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপরেশন ডিনামাইট’। যার জেরে মাত্র ন’সেকেন্ডে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল নয়ডার ‘এমারেল্ড কোর্ট’-এর বহু বিতর্কিত জোড়া টাওয়ার ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত অগ্নি-৫, ব্রহ্মস অথবা পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের থেকে কয়েক গুণ বেশি ছিল ‘অপরেশন ডিনামাইট’-এ ব্যবহৃত বিস্ফোরকের শক্তি।

০৬ ১৫

অগ্নি-৫ হল ভারতের ভরসাযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটি। ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক লিমিটেড যৌথভাবে তৈরি করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের চেয়ে ২৪গুণ দ্রুত ছুটতে পারে অগ্নি-৫। ৮.১৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে এক সেকেন্ডে।

০৭ ১৫

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করতে পারে নিখুঁত ভাবে। ওজন ৫০ হাজার কেজি। বহন করতে পারে আরও দেড় হাজার কেজি ওজনের অস্ত্র। তবে রিপোর্টে দাবি, নয়ডার জোড়া অট্টালিকা ভাঙার বিস্ফোরণ শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে একটি নয় এমন অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন হত অন্তত তিনটি।

০৮ ১৫

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। পদাতিক সেনা তো বটেই বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীও এই ক্ষেপণাস্ত্রে ভরসা রেখে আসছে। রাশিয়া এবং ভারতের যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে তিন গুণ বেশি জোরে ছুটতে পারে লক্ষ্য অভিমুখে।

০৯ ১৫

৩০০ কেজি সাধারণ বা পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্রহ্মস অন্তত একডজন উৎক্ষেপণ করলে নয়ডার যমজ ইমারতে এমন বিস্ফোরণ ঘটানো যেত বলে ওই রিপোর্টে দাবি।

১০ ১৫

পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব অবশ্য এদের থেকে একটু আলাদা। অগ্নি-৫ এবং ব্রহ্মস যেখানে দূরের লক্ষ্যভেদে পারদর্শী, সেখানে পৃথ্বী শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালাতে পারে কিছুটা কাছ থেকে।

১১ ১৫

নয়ডার জোড়া অট্টালিকা ভাঙার ৩৫ হাজার কেজি বিস্ফোরকের সঙ্গে শক্তির পরীক্ষায় নামতে হলে চারটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন হত বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।

১২ ১৫

সে দিক দিয়ে দেখলে রবিবার দুপুরে নয়ডায় এক ডজন ব্রহ্মস অথবা তিনটি অগ্নি বা চারটি পৃথ্বীর হামলার সমান প্রভাব পড়েছে আশপাশে। প্রশাসন অবশ্য সে জন্য আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল।

১৩ ১৫

যমজ অট্টালিকা ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’-এর নিকটবর্তী আবাসনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা দূরের বাসিন্দাদেরও ঘরের জানলা এবং দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।

১৪ ১৫

ওই এলাকার কাছেই থাকা সড়কপথ অভিযানের আধঘণ্টা আগে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিস্ফোরণের পরও অন্তত ৩০ মিনিট বন্ধ রাখা হয়। এমনকি, এলাকার পথ-কুকুরদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। বিস্ফোরণে দূষণ ছড়াতে পারে ভেবে মোতায়েন করা হয় স্মগ গান। যাতে ধুলোর মেঘ বাসিন্দাদের ক্ষতি না করে।

১৫ ১৫

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেবে দেখলে এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই যে, খাস রাজধানীতে বসে এক রকম যুদ্ধক্ষেত্রেরই অভিজ্ঞতা হয়েছে নয়ডার বাসিন্দাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement