বলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছেন শাহরুখ খান, আমির খান এবং সলমন খান। বক্স অফিসে বহু সফল ছবি উপহার দিয়েছেন এই তিন খান। বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, আমির এমন কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, যে ছবিগুলিতে অভিনয় করে নিজেদের কেরিয়ারে হিট ছবি পুরেছেন শাহরুখ, সলমনের মতো তারকারা।
১৯৯৩ সালে যশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডর’। শাহরুখের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেন সানি দেওল এবং জুহি চাওলা। এই ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে শাহরুখ প্রশংসা অর্জন করলেও ছবিনির্মাতাদের পছন্দ ছিল ভিন্ন।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, যশ চেয়েছিলেন ‘ডর’ ছবিতে সানির সহ-অভিনেতা হিসাবে অভিনয় করুন আমির। কিন্তু যশের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন আমির।
১৯৯৪ সালে সুরজ বরজাতিয়ার পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘হম আপকে হ্যায় কৌন..!’। এই ছবিতে সলমনের সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিতের সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের মনে ধরে। কিন্তু সলমন নন, এই ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল আমিরের।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ‘হম আপকে হ্যায় কৌন..!’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমিরকে। কিন্তু ছবির কাহিনির বুনন পছন্দ না হওয়ায় সেই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিটি শাহরুখের কেরিয়ারে একটি মাইলফলক তৈরি করে। শাহরুখের সঙ্গে কাজলের জুটিও দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়। বক্স অফিসে সফল ছবির মধ্যে অন্যতম এটি। এই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও নাকি হাতছাড়া করেছিলেন আমির।
কানাঘুষো শোনা যায়, যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনা সংস্থার তরফে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমিরকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।
‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় সেই ছবির পরিচালক আদিত্য চোপড়া তাঁর পরবর্তী ছবিতে অভিনয়ের জন্য আবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমিরকে। কিন্তু সেই ছবিতেও অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি আমিরের।
২০০০ সালে আদিত্যের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মহব্বতেঁ’। শাহরুখ, অমিতাভ বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন। কানাঘুষো শোনা যায়, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমিরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আদিত্য। কিন্তু সময়ের অভাবে ‘মহব্বতেঁ’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছিল আমিরকে।
কবীর খানের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। সলমনের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় করিনা কপূর খানকে। সলমনের কেরিয়ারের অন্যতম সফল ছবি এটি।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমিরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছবিনির্মাতারা। আমির তা ফিরিয়ে দেওয়ায় সলমনকে প্রস্তাব দেন তাঁরা। নির্মাতাদের প্রস্তাবে রাজি হন সলমন।
২০০৪ সালে আশুতোষ গোয়ারিকরের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘স্বদেশ’। শাহরুখ অভিনীত এই ছবিটি দর্শকমনে জায়গা করে নেয়। কিন্তু আমিরের ছেড়ে দেওয়া চরিত্রেই নাকি অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ।
আশুতোষের প্রথম পরিচালিত ছবি ‘লগান’-এর মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির। বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, পরিচালক ভেবেছিলেন যে, তাঁর পরবর্তী ছবিতেও আমিরকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেবেন। সেই ভাবনা থেকেই ‘স্বদেশ’ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে আমিরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।
যশ চোপড়ার পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক ঘরানার ছবি ‘দিল তো পাগল হ্যায়’। শাহরুখের সঙ্গে এই ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত এবং করিশ্মা কপূর। এই ছবিতেও নাকি অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমিরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যশ। কিন্তু পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।
শুধু শাহরুখ এবং সলমন নন, আমিরের ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারও তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে একটি ব্লকবাস্টার ছবি পুরে নেন।
২০১৮ সালে দক্ষিণী পরিচালক এস শঙ্করের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘২.০’। রজনীকান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অক্ষয়কে। কানাঘুষো শোনা যায়, এই চরিত্রের জন্য ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন আমির। কিন্তু আমির এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।