হুড়মুড়িয়ে কেটে গেল চারটে দিন। বুধবার বিদায়বেলার এসে মন খারাপ বাংলার। একটি বছর পেরিয়ে ঘরের মেয়ে উমা ফিরেছিলেন নিজের বাড়িতে। এ বার তাঁর যাওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়েকে এক বছরের জন্য বিদায় জানাল বাংলা।
সকাল ১১টা বেজে ১০মিনিটেই শেষ হয়েছে দশমী তিথি। তার আগে থেকেই অবশ্য বাংলা জুড়ে ঠাকুরদালানে, বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়েছে ‘মা’কে বরণ করে নেওয়ার পালা।
কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে শুরু করে কোচবিহারের বড় দেবীর মন্দির— সর্বত্রই নজরে পড়েছে বরণের সেই ছবি।
বাংলার উৎসবের রং সাদা-লাল। সেই লাল-সাদা শাড়িতেই সেজে দুর্গা বরণ করে সিঁদুর খেলায় মাতলেন বঙ্গবধূরা।
নথে-কঙ্কনে। মাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানাবেন। তাই সালঙ্কারে সেজেছেন বঙ্গনারীরা। গালে লেগেছে কুমকুমের ছোপ, আঙুল লাল হয়েছে আলতা-সিঁদুরে।
গৌরী বিদায়। কোচবিহারের বড় দেবীর পুজোয় সিঁদুর খেলার পালা।
কোন্নগর ঘোষাল বাড়ির পুজো। দশমীতে বিবাহিতারা এ বাড়িতে পান্তা ইলিশ খেয়ে প্রতিমা বরণ করেন। ঠাকুর বরণ শেষে হয় সিঁদুর খেলা। তার পর গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন।
দালান ছেড়ে পথে। মুর্শিদাবাদের একটি বাড়ির পুজোয় তখন শুরু হয়েছে বরণের প্রস্তুতি।
সিঁদুর পরো মা— নদিয়ার পলাশিপাড়ায় মাটির মূর্তির কপালে সিঁদুর দিয়ে বরণ।
মন খারাপ! তবুও ‘মা’কে বিদায় জানাতে মণ্ডপে এসে গালে সিঁদুর মাখল দুই খুদে। নদিয়ার করিমপুরে।
লাজে রাঙা। সিঁদুরেও। নদিয়ার করিমপুরে।
রানি কাহিনী। কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় বিজয়া দশমী পালন। সিঁদুর খেলায় অংশ নিলেন রাজ বাড়ির কর্ত্রী।
উত্তরের দুর্গা। জলপাইগুড়িতে বিজয়া উৎসব।
‘লাল’ যেন মোর মর্মে লাগে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়।
আয় তবে সহচরী! কৃষ্ণনগরের নীল দুর্গা বাড়িতে বরণডালা নিয়ে প্রতিমা বরণের উদ্য়োগ।
ঢাকের তালে। নদিয়ার নাজির পাড়ায় ঢাকে শেষ বিদায়ের বাজনা।
ওলো সই। নদিয়ার পলাশী পাড়ায় সিঁদুর খেলা।
নূতনে পুরাতনে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় বরণের পরের মুহূর্ত।
গন্ধে ছন্দে। ধূপ ধুনোয় উমা বিদায়। সোনাগাছির দুর্গাপুজোয়।