Jimmy Shergil

দেড় বছর কথা বলেনি পরিবার, কেরিয়ারে কী এমন ভুল করেছিলেন জিমি শেরগিল?

হিন্দি ফিল্মের পাশাপাশি পঞ্জাবি ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন জিমি। কেরিয়ারের গোড়ায় রোম্যান্টিক ঘরানার বহু ছবিতে কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৬:৫৪
Share:
০১ ২১

অভিনয়জগতে আসার চার বছরের মধ্যেই শাহরুখ খানের সহ-অভিনেতা হিসাবে কাজ। তার পর বলিপাড়ার ‘চকোলেট বয়’ হিসাবেই পরিচিতি তৈরি হয় জিমি শেরগিলের। কিন্তু হিন্দি ফিল্মজগতে প্রায় তিন দশক কাটানোর পরেও সফল অভিনেতাদের তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি তিনি।

০২ ২১

১৯৭০ সালের ৩ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশে জন্ম জিমির। পঞ্জাব এবং লখনউ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর মুম্বইয়ে পা রাখেন তিনি।

Advertisement
০৩ ২১

মুম্বইয়ে জিমির এক তুতো ভাই থাকতেন। ভাইয়ের অনু্প্রেরণায় সেখানেই বলি পরিচালক রোশন তানেজার কাছে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন জিমি।

০৪ ২১

প্রশিক্ষণ চলাকালীন জিমি খবর পান, গুলজার ‘মাচ্ছিস’ নামে একটি হিন্দি ছবি পরিচালনা করছেন। এই ছবিতে সহকারী হিসাবে কাজ করবেন বলে ১৯৯৪ সালে গুলজারের কাছে যান জিমি।

০৫ ২১

গুলজারের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন চন্দ্রচূড় সিংহ, তব্বু এবং ওম পুরি। জিমিকে দেখামাত্রই গুলজার তাঁকেও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। গুলজারের ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন জিমি। ১৯৯৬ সালে ছবিটি মুক্তি পায়।

০৬ ২১

‘মাচ্ছিস’ মু্ক্তি পাওয়ার পর তিন বছরের বিরতি। দেশ দীপক পরিচালিত ‘জাহা তুম লে চলো’ ছবিতে আবার অভিনয় করতে দেখা যায় জিমিকে। এই ছবিতে ব্যবহৃত গানের বাণী লিখেছেন গুলজার।

০৭ ২১

কিন্তু কেরিয়ারের শুরুতেই হিন্দি ছবিতে বড়সড় সুযোগ পান জিমি। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত ‘মহব্বতে’ ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে পর্দা ভাগ করেন জিমি। ২০০০ সালে আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ‘চকোলেট বয়’ হিসাবে জিমির পরিচিতি তৈরি হয়।

০৮ ২১

তার পর হিন্দি ফিল্মের পাশাপাশি পঞ্জাবি ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন জিমি। কেরিয়ারের গোড়ায় রোম্যান্টিক ঘরানার বহু ছবিতে কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি।

০৯ ২১

বলিপাড়ার অন্দরমহলে শোনা যায়, জিমি তাঁর কেরিয়ারের শুরু রোম্যান্টিক ঘরানার ছবির মাধ্যমে করেছিলেন বলে সকলের মনে তাঁকে নিয়ে একমুখী ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ‘চকোলেট বয়’-এর ধারণাটি ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন জিমি। জিমি ভাবেন, রোম্যান্টিক ছাড়া অন্য ধরনের ছবিতে অভিনয় করা শুরু করলে তিনি সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে সফল হবেন।

১০ ২১

গুরুগম্ভীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পার্শ্বচরিত্রেও কাজ করতে শুরু করেন জিমি। কিন্তু তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে ছবির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই পরিমাণে সাফল্য আসেনি। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর নিজের কেরিয়ার নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারেননি জিমি। তাই অভিনেতা হিসাবে সফলও হতে পারেননি তিনি।

১১ ২১

বলিপাড়া সূত্রে খবর, জিমির সঙ্গে দেড় বছর কথা বলা বন্ধ রেখেছিল অভিনেতার পরিবারের সদস্যেরা। জিমি এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানান, ১৮ বছর বয়সে তাঁর আচরণের জন্যই জিমিকে একঘরে করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা।

১২ ২১

জিমি জানান, পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে তাঁকে সারা ক্ষণ পাগড়ি পরে থাকতে হত। ছোটবেলায় সমস্যা না হলেও কলেজে হস্টেলে গিয়ে থাকার পর এই পাগড়ি নিয়েই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন জিমি।

১৩ ২১

আর কোনও দিন পাগড়ি পরবেন না বলে জিমি তাঁর বাবাকে জানান। এই কথা শোনার পর থেকেই নাকি অভিনেতার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন পরিবারের সকলে। টানা দেড় বছর জিমির সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখেননি তাঁর বাবা-মা।

১৪ ২১

জিমি বলেন, ‘‘কলেজে হস্টেলে থাকাকালীন পাগড়ি পরে থাকতে খুব অসুবিধা হত। কিন্তু পরে তা ধুয়ে আবার পরতে সমস্যা হত। ১৮ বছর পর্যন্ত আমি পাগড়ি পরেছিলাম। বাবা যখন হস্টেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল, তখন আমি নিজের চুল কাটিয়ে নেওয়ার কথা বলি।’’

১৫ ২১

জিমির দাবি, তিনি যে চুল কাটতে চেয়েছেন তা শুনেই অভিনেতার উপর রেগে যান তাঁর বাবা। জিমির পরিবারে তাঁর এক মামা ছাড়া অন্য কেউ চুল কাটাননি। জিমি বলেন, ‘‘শুধু বাবা-মা নয়, পরিবারের কেউই আর কথা বলেননি আমার সঙ্গে।’’

১৬ ২১

জিমি জানান, তিনি যে অভিনয়ে নামবেন তা নিয়ে পরিবারের মত ছিল না। এমনকি, জিমি মুম্বইয়ে বেশি দিন যে মুম্বইয়ে থাকতে পারবেন না তাও নাকি আগে থেকেই অনুমান করে ফেলেছিলেন জিমির পরিবার।

১৭ ২১

জিমি এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমাকে সকলে বলেছিলেন, মুম্বইয়ে যাওয়ার পর আমার দৈনন্দিন জীবনধারার এমন পরিবর্তন হবে যে আমি ১৫ দিনের বেশি সেখানে থাকতে পারব না।’’

১৮ ২১

কিন্তু জিমি পরিবারের সকলের ভুল ধারণা ভেঙে ফেলেন। যত দিন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেননি, তত দিন ধৈর্য ধরে মুম্বইয়েই ছিলেন। হাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাননি অভিনেতা। জিমির অধ্যবসায় এবং নিজ কর্মের প্রতি নিষ্ঠা দেখে পরে তাঁর পরিবারও পাশে এসে দাঁড়ায়।

১৯ ২১

জিমির দাবি, গোড়ার দিকে না হলেও তাঁর জেদ এবং নিষ্ঠা দেখার পর পরিবারের সকলে জিমির পাশে এসে দাঁড়ান। প্রতি পদেই জিমির সঙ্গে ছিলেন তাঁরা।

২০ ২১

‘মহব্বতে’ ছবিটি মুক্তির এক বছর পরেই দীর্ঘকালীন প্রেমিকা প্রিয়ঙ্কা পুরিকে বিয়ে করেন জিমি। তাঁদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।

২১ ২১

চলতি বছরে ‘অপারেশন মেফেয়ার’ এবং ‘আজাম’ ছবিতে জিমিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে অভিনেতার অনুরাগী সংখ্যা ইতিমধ্যে ছ’লক্ষের গণ্ডি পার করে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement