মঙ্গলবার দুবাইতে ২০২৪ সালের আইপিএলের জন্য নিলাম অনুষ্ঠিত হল। সব দলের মতো দিল্লি ক্যাপিটালসও বেছে নিয়েছে নিজের দরকারি খেলোয়াড়দের। দফায় দফায় গুজরাত, রাজস্থান কিংবা চেন্নাইয়ের সঙ্গে নিলাম যুদ্ধে রেষারেষি করে এই বছরের দল সাজিয়েছে তারা। ঋষভ পন্থের দলে এ বার বেশ ক’জন নতুন মুখ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজধানীর দল রয়েছেন কারা।
ব্রিটিশ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুককে কিনেছে দিল্লি। নিলাম ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দর উঠেছিল চার কোটি। আইপিএলে তাঁকে নিয়ে আশাবাদী কোচ রিকি পন্টিংও।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ট্রিস্টান স্টাবসকে ৫০ লক্ষ টাকায় কিনেছে সৌরভের দিল্লি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে তাঁর মুক্তির পরেই এই ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়ে নেয় দিল্লি।
রিকি ভুঁইকেও কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ব্যাটসম্যান হিসাবে তাঁর সুনাম রয়েছে। সৌরভরা আশা রাখছেন দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। নিলাম তাঁর দর উঠেছিল ২০ লক্ষ টাকা।
ঝাড়খণ্ড থেকে আসা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার কুশাগ্রর জন্য নিলামের লড়াই ছিল দেখার মতো। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে রাখার জন্য চেন্নাই ও গুজরাতকে পেরিয়ে ৭.২০ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে হল দিল্লিকে।
বোলিংয়ের ক্ষেত্রকে আরও পোক্ত করার আশায় নিলামে রশিক দারকে কিনেছে দিল্লি।
জাই রিচার্ডসনকেও দলে নিয়েছে দিল্লি। ২০২১ সালে আইপিএলে অভিষেক করেন তিনি। অস্ট্রেলীয় এই খেলোয়াড়ের উপর অনেক আশা রয়েছে সৌরভদের। পাঁচ কোটির বিনিময়ে দিল্লিতে এসেছেন তিনি।
অলরাউন্ডার হিসাবে সুমিত কুমারকে দলে নিয়েছে দিল্লি। এক কোটি টাকায় নিলামে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে কিনেছেন তাঁরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় শেই হোপ। ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসাবে তাঁর সুনামের কথা মাথায় রেখেই এই বছর তাঁকে কিনেছে দিল্লি। ৭৫ লক্ষ টাকায় নিলামে তাঁকে কিনেছেন সৌরভরা।
এই বছর আইপিএলে অভিষেক করছেন স্বস্তিক চিকারা। ব্যাটসম্যান হিসাবে তাঁর কাছে ভাল পারফর্ম্যান্স আশা করছেন সমর্থকেরাও।
বাকি দলে একই রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়কত্বে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। দলের অধিনায়ক হিসাবে তাঁর ফির আসার অপেক্ষায় মুখিয়ে সমর্থকেরা।
গত মরসুমে অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় ডেভিড ওয়ার্নার অধিনায়ক ছিলেন দিল্লির। এই বার প্রথম সারির ব্যাটসম্যান হিসাবে দলে রয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে বাংলার অভিষেক পোরেল আগামী বছরেও দলে থাকছেন। চলতি বছরেই তিনি আইপিএলে অভিষেক করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড় আনরিখ নর্টজে আইপিএলে অভিষেক করেছেন ২০২০ সালে। বোলার হিসাবে তাঁর উপরেই এই বছরেও আস্থা রাখছেন কর্তারা।
অলরাউন্ডার অক্ষর পটেলকে দিল্লি ক্যাপিটালস এই বছরেও দলে রেখেছে। ২০১৪ সাল থেকে টানা আইপিএলে খেলার দরুণ পোড় খাওয়া এই খেলোয়াড়ের উপর আশা অনেক।
বোলিংয়ের জন্য দিল্লি অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মার উপর আস্থা রাখছে আগামী বছরেও।
২০১৬ সাল থেকে আইপিএলে একের পর এক ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। তাই কুলদীপ যাদবকে এ বারও দলে রেখেছে দিল্লি।
ললিত যাদব বেশি দিন আইপিএল খেলা শুরু করেননি ঠিকই তবে এর মধ্যেই তাঁর উপর ভাল পারফর্ম করার আশা রাখছেন দিল্লির কর্তারা। তিনিও দলে থাকছেন অলরাউন্ডার হিসাবে।
দক্ষিন আফ্রিকার পেসার লুনগি এনগিদি এ বারেও থাকছেন দিল্লির দলে। বোলিংয়ে তাঁর দারুণ ফর্ম দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।
অসি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শও থাকছেন দিল্লিতে। অস্ট্রেলীয় এই ক্রিকেটার আইপিএলের অত্যন্ত চেনা ও ভরসার মুখ।
মুকেশ কুমার বোলিংয়ের জন্য দিল্লিতে চেনা মুখ। এই বছরেও দলে থাকছেন তিনি।
বোলিংয়ে থাকছেন প্রবীণ দুবেও। তাঁকেও দিল্লির দল ছাড়েনি এই মরসুমে।
ব্যাটসম্যান পৃথ্বী শ’ ২০১৮ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন। এই বছরেও তিনি থাকছেন দিল্লি ক্যাপিটালসেই।
বোলার খলিল আহমদও রয়েছেন দলে। গত বছরের মতো এই মরসুমেও তাঁকে দেখা যাবে দিল্লির হয়ে খেলতে।
ভিকি অসওয়ালকে দলে রেখেছেন সৌরভরা। বোলিংয়ের জন্য তাঁর সুনাম রয়েছে। সেই ফর্ম ধরে রাখার আশা করছেন তাঁরা।
ব্যাটসম্যান যশ ঢুলকে গত মরসুমের মতো এ বারেও দলে রেখেছেন কর্মকর্তারা। তাঁর কাছে থেকে ভাল পারফর্ম করার আশা রাখছেন সমর্থকেরা।