Govinda

কথার খেলাপ করতেন, নিজের দোষেই বলিউড থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন গোবিন্দ

এক টানা ১৪-১৫ বছর কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন গোবিন্দ অরুণ আহুজা ওরফে গোবিন্দ। কিন্তু তাঁর ‘অপেশাদার’ আচরণ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বলিপাড়ার বহু তারকা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৬
Share:
০১ ১৮

আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে সাফল্যের চূড়ায় উঠেছিলেন গোবিন্দ অরুণ আহুজা ওরফে গোবিন্দ। দর্শকের কাছে অভিনয় দক্ষতার জন্য ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এক টানা ১৪-১৫ বছর চুটিয়ে কাজ করার পরেও তিনি ধীরে ধীরে বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। এর জন্য নাকি দায়ী অভিনেতা নিজেই। এমনটাই মনে করেন বলিপাড়ার বহু তারকা।

০২ ১৮

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলি অভিনেতা তিনু বর্মা গোবিন্দের ‘অপেশাদার’ আচরণ নিয়ে মুখ খোলেন। কথা প্রসঙ্গে ‘অচানক’ ছবির শুটিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনু। ১৯৯৮ সালে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। গোবিন্দের বিপরীতে ‘অচানক’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মনীষা কৈরালাকে। তিনুও এই ছবির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, শুটিংয়ে কখনও সঠিক সময়ে আসতেন না গোবিন্দ।

Advertisement
০৩ ১৮

তিনুর দাবি, ‘অচানক’ ছবির প্রযোজক বিজয় গালানিও গোবিন্দের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। গোবিন্দ ব্যাপারটি আঁচ করে নিজে থেকেই কথা দেন যে, পরের দিন সঠিক সময়ে ফ্লোরে আসবেন। তাঁর জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে হবে না।

০৪ ১৮

গোবিন্দের কথামতো হোটেলে একটি ঘর বুক করেন প্রযোজক বিজয়। বিজয় ভেবেছিলেন, হোটেলের ঘরে আগের দিন রাতে অভিনেতা বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকেই শুটিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন গোবিন্দ।

০৫ ১৮

পরের দিন সকালে শুটিং ফ্লোরে সবাই তৈরি হয়ে অপেক্ষা করছেন। গোবিন্দ আসার আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন।কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গোবিন্দের দেখা মিলল না। বার বার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া গেল না অভিনেতাকে। হোটেলে খোঁজ নিয়ে বিজয় জানতে পারলেন যে, গোবিন্দ আগের দিন হোটেলে আসেনইনি। তা হলে তিনি গেলেন কোথায়?

০৬ ১৮

তিনুর বক্তব্য, সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে গিয়েছিল। তবুও গোবিন্দের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মাঝখানে অভিনেতার এক সহকারী ফোনে জানালেন যে, গোবিন্দ শুটের জন্য ১২টার সময় রওনা হয়েছেন। তা শুনে ফ্লোরের সকলে তৎপর হলেও সব আয়োজন বৃথা যায়।

০৭ ১৮

গোবিন্দের অপেক্ষায় আর বসে না থেকে সে দিনের মতো শুট বাতিল করে দেন প্রযোজক বিজয়। তার পর তিনুর সঙ্গে গাড়িতে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেন তিনি। রাস্তায় একটি দুধের দোকান দেখে গাড়ি দাঁড় করান তিনু।

০৮ ১৮

দোকানের সামনে একটি কলেজ ছিল। কলেজের চারদিকে ভিড় জমা হয়েছে দেখে দোকানদারকে জমায়েতের কারণ জিজ্ঞাসা করেন তিনু। দোকানদার জানান, কলেজের ভিতর ছবির শুটিং চলছে। এই কথা শুনে তিনুর কৌতূহল জাগে।

০৯ ১৮

তিনুর দাবি, কলেজের দেওয়ালে চড়ে তিনি যা দেখলেন তাতে অবাক হয়ে যান। তাঁর চোখের সামনে তখন গোবিন্দ। নাচের দৃশ্যে অভিনয় করছেন তিনি। তিনুর সঙ্গে চোখাচোখি হওয়ায় সামনে থেকে সরে যান গোবিন্দ।

১০ ১৮

তিনু বহু ক্ষণ শুটিংয়ের এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু গোবিন্দকে তিনি আর দেখতেই পাননি। তিনুর দাবি, এর পর গোবিন্দ তাঁর মেকআপ আর্টিস্টকে শুটিং ফ্লোরে পাঠিয়েছিলেন তিনু সেখানে রয়েছেন কি না তা দেখার জন্য।

১১ ১৮

গোবিন্দের এরকম আচরণ দেখে শুটিং ফ্লোর থেকে সরে যান তিনু। দোকানে এসে বিজয়কে পুরো বিষয়টি জানান। তিনুর দাবি, ‘‘এক দিনে তিন তিনটি ছবির শুট করবেন বলে কথা দিয়ে দিতেন গোবিন্দ।’’

১২ ১৮

কিন্তু গোবিন্দ নিজের দেওয়া কথা রাখতে পারতেন না। শুটিংয়ের জন্য সঠিক সময়ে আসতে পারতেন না তিনি। অভিনেতার এই আচরণ বলিজগতের প্রযোজক এবং পরিচালকদের নজরে পড়তে শুরু করে।

১৩ ১৮

গোবিন্দকে ‘অপেশাদার’ বলে দাগিয়ে ফেলেন বলিপাড়ার একাংশ। এই আচরণ নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই অভিনেতার কাছে কাজের সুযোগও কম আসতে শুরু করে। তিনুর দাবি, এই কারণেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছেন। না হলে গোবিন্দ আজও বলিপাড়া কাঁপাতেন।

১৪ ১৮

শুধু তিনু একাই নন, গোবিন্দের অপেশাদারিত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ডেভিড ধাওয়ানের মতো পরিচালকও। বাদ পড়েননি অনুরাগ বসুও। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, ‘জগ্গা জাসুস’ ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য গোবিন্দকে বেছে নিয়েছিলেন অনুরাগ। কিন্তু গোবিন্দ সেটে সঠিক সময়ে আসতেন না বলে কাজ শুরু করার পরেও মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয়।

১৫ ১৮

গোবিন্দের চরিত্র নিয়েও বলিপাড়ায় কম বিতর্ক হয়নি। বলি ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, গোবিন্দ যে সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতেন, তাঁর সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন অভিনেতা। নীলম কোঠারি এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রায়শই শোনা যায়। অধিকাংশের দাবি, অভিনেত্রীদের সঙ্গে বড় পর্দার আড়ালেও দেখা করতেন গোবিন্দ।

১৬ ১৮

কানাঘুষো শোনা যায়, রানির সঙ্গে একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছিল গোবিন্দকে। বিয়ে হওয়ার পরেও রানির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন তা নিয়ে গোবিন্দকে কটু কথাও শুনতে হয়েছে। এমনকি, তাঁর স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে সম্পর্কে টান পড়েছিল গোবিন্দর।

১৭ ১৮

গোবিন্দের ‘অপেশাদার’ আচরণের জন্য যে তাঁকে কোনও পরিচালক কাজ দিচ্ছেন না এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন গোবিন্দ নিজেই। অভিনেতার বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বদলায়, তাঁদের মতও বদলায়। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।

১৮ ১৮

গোবিন্দের দাবি, বহু বছর কাজ করে কেউ সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলে অনেকেই চান অন্ধকারে টেনে নিয়ে যেতে। এক সময় তিনি যাঁদের কাছের মানুষ মনে করেছিলেন, তাঁরাই অভিনেতার নামে গুজব ছড়াচ্ছেন বলে জানান গোবিন্দ। তিনি নিজের চেষ্টায় এত বছর কাজ করে এসেছেন কিন্তু কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি বলেও মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement