ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের দাপটে কার্যত থেমে গিয়েছে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের জনজীবন। তবে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে শক্তি কমেছে মিগজাউমের। পূর্বাভাস অনুসারে উপকূলবর্তী অংশে আছড়ে পড়ার পরেই তার বিধ্বংসী প্রবণতায় ভাটা পড়েছে। তবে শক্তি কমলেও এখনও ফুঁসছে মিগজাউম।
তবে বুধবার সারা দিন ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা তেমন কমবে না বলেই আশঙ্কা করছেন আবহবিদেরা। বুধবার বেলা গড়ালে আরও শক্তি কমে এই ঝড় গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে।
এখনও অবধি আবহাওয়া দফতরের সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে মিগজাউম গভীর নিম্নচাপে তৈরি হয়ে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় কেবল সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করবে মিগজাউম।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ধ্রের বাপাতলার ১০০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মামের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে।
বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী এবং দক্ষিণ ওড়িশাতেও। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মিগজাউম। শেষ ছ’ঘণ্টায় সমুদ্রের উপর এর গতিবেগ ছিল ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।
মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা।
ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে এই রাজ্যেও। মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টিও হয়েছে।
বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শুধু পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।