Shyam Keshwani

লড়েছেন মুম্বই ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’, বলিউডের খানের হয়েও! বিরিয়ানি রান্নাতেও দড় ছিলেন আইনজীবী

১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের হয়ে মামলা লড়েছিলেন কেশওয়ানি। বম্বে হাই কোর্টের অওরঙ্গাবাদের বেঞ্চে ছিল সেই মামলা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১৩:৫৩
Share:
০১ ১৬

শাহরুখ খানের হয়ে এজলাসে দাঁড়িয়েছিলেন। আবার গ্যাংস্টার দাউদের ভাইয়ের হয়েও সওয়াল করেছেন। অন্ধকার জগতের অন্যতম মাথা হাজি মস্তান, ইকবাল মির্চিও ছিলেন তাঁর মক্কেল। সেই শ্যাম কেশওয়ানি প্রয়াত।

০২ ১৬

বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন কেশওয়ানি। দীর্ঘ দিন ধরে অ্যালঝাইমার্সে ভুগছিলেন। পরে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ দিন ওকালতি করতে পারেননি। স্ত্রী নাদিরা এবং ছেলে চাঙ্গেজ়কে রেখে গেলেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৬

১৯৪২ সালে সিন্ধে জন্ম কেশওয়ানির। তখনও দেশভাগ হয়নি। কেশওয়ানির পূর্বপুরুষেরাও ছিলেন আইনজীবী।

০৪ ১৬

১৯৭২ সালে সরকারি ল কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি। তার পর আইনজীবী তথা দেশের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রাম জেঠমলানির অধীনে প্র্যাকটিস করেন।

০৫ ১৬

১৯৮৫ সালে নার্কোটিক ড্রাগ এবং সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স (এনডিপিএস) আইন কার্যকর করা হয়। সে সময়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন কেশওয়ানি।

০৬ ১৬

১৯৯৮ সালের ঘটনা। পানভেলের খামারবাড়িতে ‘বিপন্ন’ প্রজাতির পশু রেখেছিলেন সলমনের বাবা সেলিম খান। সে জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর হয়ে মামলা লড়েছিলেন কেশওয়ানি। বম্বে হাই কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন সেলিম।

০৭ ১৬

১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের হয়ে মামলা লড়েছিলেন কেশওয়ানি। বম্বে হাই কোর্টের অওরঙ্গাবাদের বেঞ্চে ছিল সেই মামলা। এক মহিলা এসে দাবি করেছিলেন, তিনি শাহরুখের মা।

০৮ ১৬

ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, মহারাষ্ট্রের কোপদেও হিপ্পারগায় জন্ম শাহরুখের। তিনিই জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর আসল নাম আল্লাসাহেব পাঠান। ছোটবেলা থেকে তিনি নিখোঁজ।

০৯ ১৬

শুধু বলিউড তারকা নন, অন্ধকার জগতের ‘কুখ্যাত’ লোকজনের হয়েও মামলা লড়েছিলেন তিনি। দাউদের ভাই ইকবাল কাসকার, বোন হাসিনা পার্কারের হয়ে মামলা লড়েছেন কেশওয়ানি।

১০ ১৬

ডন ইকবাল মির্চি, হাজি মস্তানের হয়েও সওয়াল করেছেন কেশওয়ানি। পাচারের মামলায় তাঁদের হয়ে লড়েছিলেন কেশওয়ানি।

১১ ১৬

নব্বইয়ের দশকে একের পর এক এনডিপিএস মামলা লড়তে শুরু করেন কেশওয়ানি। জিততেও থাকেন। ক্রমে ওই ক্ষেত্রে তিনি দড় হয়ে ওঠেন।

১২ ১৬

আইনজীবী আয়াজ় খান বলেন, ‘‘নব্বইয়ের দশকে যাঁরা এনডিপিএস মামলা লড়তে শুরু করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতন ছিলেন কেশওয়ানি। তাঁর অধীনে কাজ করেছিলেন অনেক তরুণ আইনজীবী। সব সময় তাঁর কাছে সমস্ত রকম সাহায্য চাওয়া যেত।’’

১৩ ১৬

আয়াজ় আরও জানান, তরুণ আইনজীবীদের সাহায্য করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতেন কেশওয়ানি। যাঁরা তাঁর অধীনে প্র্যাকটিস করতেন না, তাঁদেরও সাহায্য করতেন।

১৪ ১৬

আইনজীবী আবাদ পণ্ডা একটি সাক্ষাৎকারে জানান, যেমন ভাল আইনজীবী, তেমন মানুষ হিসাবেও খুব ভাল ছিলেন কেশওয়ানি। তাঁর কথায়, ‘‘স্বল্পভাষী ছিলেন কেশওয়ানি। কিন্তু সওয়াল করার ক্ষেত্রে দারুণ আক্রমণাত্মক ছিলেন। তরুণ আইনজীবীদের খুবই অনুপ্রাণিত করতেন। ওঁকে মিস্ করব।’’

১৫ ১৬

সওয়াল করার পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে দক্ষ ছিলেন কেশওয়ানি। বিরিয়ানি রান্নায়। প্রতি বছর একটি দিন নির্ধারণ করতেন প্রবীণ আইনজীবী। সে দিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য এবং পরিচিত আইনজীবীদের বিরিয়ানি রেঁধে খাওয়াতেন।

১৬ ১৬

কেশওয়ানির এক জুনিয়র মিথিলেশ মিশ্র জানান, চিকেন বা মাটন বিরিয়ানি দারুণ রাঁধতেন তিনি। সেই স্বাদ এখনও লেগে রয়েছে আইনজীবীদের মুখে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পদও রেঁধে এনে খাওয়াতেন কেশওয়ানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement