মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ, সুরেশ রায়নার মতো ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেটারেরা খেলার মাঠে নিজেদের জাদু দেখিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের প্রেমকাহিনিও অনুরাগীদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। দীর্ঘকালীন প্রেমিকাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ভারতের বহু ক্রিকেটার।
২০০৪ সালে আরতি আহলাওয়াতের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বীরেন্দ্র সহবাগ। কানাঘুষো শোনা যায়, আরতিকে বহু বছর আগে থেকে চিনতেন সহবাগ।
অন্দরমহল সূত্রে খবর, আরতি নাকি সহবাগের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আসলে এক বিয়েবাড়িতে প্রথম আলাপ হয় সহবাগ এবং আরতির। সহবাগের এক তুতো ভাই আরতির এক আত্মীয়কে বিয়ে করেন। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানেই দু’জনের পরিচয়।
সহবাগের যখন সাত বছর বয়স, সেই সময় আরতির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। আরতির বয়স তখন মাত্র পাঁচ বছর। ২১ বছরে পা ফেলার পর আরতিকে প্রেম নিবেদন করেন সহবাগ। দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের পর পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকেন তাঁরা। তার পর ২০০৪ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সহবাগ এবং আরতি।
২০১০ সালে সাক্ষী সিংহ রাওয়াতকে বিয়ে করেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সাক্ষীকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন ধোনি। দু’জনের বাবা একই সংস্থার কর্মী ছিলেন। এমনকি ধোনির সঙ্গেই রাঁচির এক স্কুলে পড়তেন সাক্ষী।
ছোট থেকেই সাক্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল ধোনির। কিন্তু পরবর্তী কালে সাক্ষী তাঁর পরিবার-সহ রাঁচি ছেড়ে দেহরাদূনে চলে যান। ধোনির সঙ্গে যোগাযোগও ছিন্ন হয়ে যায় সাক্ষীর। কিন্তু দু’জনের ভাগ্য নতুন দিকে মোড় নেয়।
প্রায় এক দশকের ব্যবধানে সাক্ষীর সঙ্গে কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে দেখা হয় ধোনির। ধোনি তখন ভারতীয় ক্রিকেট দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। সাক্ষী সে হোটেলে ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করছিলেন। ধোনি এবং সাক্ষীর দ্বিতীয় বারের সাক্ষাৎ প্রেমে পরিণত হয়। তার পর ২০১০ সালের ৪ জুলাই সাক্ষীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ধোনি।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রিয়ঙ্কা চৌধরিকে বিয়ে করেন সুরেশ রায়না। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কাকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন রায়না। গাজিয়াবাদে থাকাকালীন প্রিয়ঙ্কার বাবা রায়নাকে খেলাধুলা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। তার পর অবশ্য গাজিয়াবাদ ছেড়ে পরিবার-সহ পঞ্জাবে চলে যান প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কা প্রসঙ্গে রায়না এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি চার মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনি মা আমার জন্য মেয়ে ঠিক করে ফেলেছেন।’’
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অফ স্পিনার হিসাবে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর প্রীতি নারায়ণনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অশ্বিন। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে প্রীতি জানান, ছোটবেলা থেকেই অশ্বিনকে চিনতেন তিনি।
প্রীতি জানান, অশ্বিনের সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন তিনি। ছোটবেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা হত তাঁদের। পরে কেরিয়ার গড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দু’জনে। শৈশবের বান্ধবীর সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎও বন্ধ হয়ে যায় অশ্বিনের।
দশ বছর পর প্রীতির সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয় অশ্বিনের। পুরনো বান্ধবীকে চিনতে পারেন ক্রিকেটার। সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে গড়ায় এবং ২০১১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে।
২০১৪ সালে ছোটবেলার বান্ধবী রাধিকা ধোপাভকারকে বিয়ে করেন ক্রিকেটার আজিঙ্ক রাহানে। রাধিকা এবং রহানে দু’জনেই প্রতিবেশী ছিলেন। শুধু তাই নয়, একে অপরের প্রিয় বন্ধুও ছিলেন তাঁরা।
২০১৬ সালে আইনি মতে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ সেরেছিলেন ক্রিকেটার বরুণ অ্যারন এবং তাঁর জীবনসঙ্গিনী রাগিণী সিংহ। তার পর অবশ্য খ্রিস্টান মতে বিয়ে হয় দু’জনের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জামশেদপুরের স্কুলে একই সঙ্গে পড়াশোনা করতেন বরুণ এবং রাগিণী।
জোরে বোলার হিসাবে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২০১৭ সালে নূপুর নগরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। কানাঘুষো শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশে থাকাকালীন একই পাড়ায় থাকতেন ভুবনেশ্বর এবং নূপুর।
প্রতিবেশী হওয়ার কারণে নূপুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় ভুবনেশ্বরের। দু’জনের বন্ধুত্ব প্রেমেও পরিণত হয়। কেরিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নূপুরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ভুবনেশ্বর।