গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মঙ্গলবার আগরতলা থেকে বিমান ধরতে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সন্দেহ করা হচ্ছে, জল ভেবে ‘বিষাক্ত’ কোনও তরল খেয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
বুধবারই আগরতলার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হতে পারে তাঁকে। বিকেলের মধ্যে ফিরবেন বেঙ্গালুরু। এমনটাই জানা গিয়েছে এক ওয়েবসাইটের তরফে।
মঙ্গলবার আগরতলা থেকে দিল্লির বিমান ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মায়াঙ্ক। আসনের সামনে রাখা পাউচ থেকে জল ভেবে অন্য কোনও তরল পদার্থ খেয়ে নেওয়াতেই বিপদ বাধে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, মায়াঙ্কের গলায় জ্বালা এখনও রয়েছে। ফুলে রয়েছে ঠোঁটও। আগামী ৪৮ ঘণ্টা কথা বলতে পারবেন না তিনি। তবে আর কোনও সমস্যা এই মুহূর্তে নেই।
হাসপাতালে ভর্তি হলেও ম্যানেজারের মারফত রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মায়াঙ্ক।
পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি কিরণ কুমার বলেন, “আপাতত মায়াঙ্কের শরীর ঠিকঠাকই রয়েছে। ওঁর ম্যানেজার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায়।”
শোনা যাচ্ছে, বিমান পরিষ্কার করার কোনও তরল পদার্থ ভুল করে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন কোনও কর্মী।
মায়াঙ্কের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওই অফিসার বলেন, “ওঁর ম্যানেজার জানিয়েছেন, বিমানে ওর আসনে বসার সময় সামনে একটি পাউচ রাখা ছিল। তার থেকে কিছুটা তরল পদার্থ উনি খান। তাতেই ওঁর মুখের ভিতরে অস্বস্তি শুরু হয়। কথাও বলতে পারছিলেন না। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওঁকে ভর্তি করানো হয়। মুখের ভিতর ফুলে গিয়েছে এবং ঘা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি সব ঠিকঠাক রয়েছে।”
ত্রিপুরার স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিট্টে বলেন, “পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি কী হয়েছিল। ওঁর ম্যানেজারের বক্তব্য অনুযায়ী, কাল (বুধবার) উনি বেঙ্গালুরু যাবেন। আগরতলায় যে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা দরকার, তা আমরা ওঁকে দেব।”
সুরতের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই মায়াঙ্কের। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু সেই ম্যাচ।
তবে গোটা মরসুম থেকে তিনি ছিটকে গিয়েছেন বলে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা সত্যি নয় বলেই জানা গিয়েছে। পরের ম্যাচে কর্নাটকের অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে পারেন নিখিল জোসে।
ভারতের হয়ে ২১টি টেস্ট এবং ৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলা মায়াঙ্ক এখন জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। রঞ্জি ট্রফিতে তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নাটককে।
ঋদ্ধিমান সাহার দলের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে তিনি করেন ৫১ এবং ১৭ রান। তাঁর দল সোমবার ২৯ রানে জিতেছে।
মঙ্গলবার তিনি দলের সঙ্গেই দিল্লি যাচ্ছিলেন। সকাল থেকে অবশ্য তিনি সুস্থই ছিলেন।
গত চার দিন মাঠেও তাঁকে স্বাভাবিকই দেখিয়েছে। মঙ্গলবার বিমানে ওঠার পর প্রথম অস্বস্তির কথা জানান মায়াঙ্ক।
বিমানের আসনে বসার পর গলায় অস্বস্তির কথা সতীর্থদের জানান মায়াঙ্ক। তখনও বিমান আগরতলা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েছিল।
ঝুঁকি না নিয়ে কর্নাটকের ব্যাটারকে নামিয়ে আনা হয় বিমান থেকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে মায়াঙ্ক চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, তাঁর মুখ এবং গলায় তীব্র জ্বালা করছে। তাঁর সঙ্গে আগরতলায় থেকে গিয়েছেন কর্নাটক দলের ম্যানেজার।