২০১৯ সালের ঘটনা। রান্নাঘর নতুন করে বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ড্যামসন (নাম পরিবর্তিত) দম্পতি।
পরিকল্পনামাফিক সেই কাজও শুরু করিয়ে দেন তাঁরা। সংস্কারের সময় রান্নাঘরের মেঝেও খুঁড়তে হয়েছিল। আর মাটি খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এল একটি পাত্র।
পাত্রের আকার ছোট। দেখতে অনেকটা সোডা রাখার ক্যানের মতো। কিন্তু, পাত্রটি বেশ ভারী।
ভিতরে কী রয়েছে তা দেখার কৌতূহল জাগে দম্পতির। পাত্র খুলে দেখা গেল তা সোনার মুদ্রায় ভর্তি!
এ যে গুপ্তধন! সোনার মুদ্রাগুলি বহু বছরের পুরনো। গণনা করে দেখা যায়, মোট মুদ্রার সংখ্যা ২৬৪।
পরে তাঁরা জানতে পারেন, সোনার মুদ্রাগুলি সপ্তদশ থেকে অষ্টাদশ শতকের। এই প্রাচীন মুদ্রাগুলির সঙ্গে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের যোগ রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, পূর্ব ইয়র্কশায়ারের ফার্নলে-মেইস্টার্স নামের এক ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের সম্পত্তি ছিল এই মুদ্রাগুলি।
১৬১০ থেকে ১৭২৭ সালের মধ্যে ব্যবসা সূত্রে এই মুদ্রাগুলি তাঁদের দখলে আসে।
প্রাচীন মুদ্রার নাগাল পাওয়ায় ড্যামসন দম্পতি লন্ডনের নিলামঘরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
নিলাম বিশেষজ্ঞরা এই মুদ্রাগুলির খবর প্রকাশ করতেই আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, চিন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে বহু মানুষ আগ্রহ দেখান।
নিলাম বিশেষজ্ঞ গ্রেগরি এডমন্ড এক সাক্ষাৎকারে জানান, নিলামঘর থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই মুদ্রাগুলি।
তিনি আরও জানান, ২৬৪টি মুদ্রার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ১৭২০ সালের স্বর্ণমুদ্রাটি। এই মুদ্রাটি ৬৯,৭১০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা) নিলাম হয়েছে।
২৬৪টি মুদ্রার নিলামে মোট ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৩০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা) পেয়েছেন দম্পতি।
গ্রেগরি জানিয়েছেন, নিলামে এত চড়া দামে মুদ্রাগুলি বিক্রি হয়ে নজির গড়েছে।