Li Keqiang Death

চিনের সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি, তাঁকে সরিয়ে দেন জিনপিং! ৬৮তেই প্রয়াত সেই নেতা

খ্যছিয়াং চলতি বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরেছেন। সে জায়গায় বসেছেন লি কিয়াং। পদ থেকে সরে যাওয়ার আট মাসের মধ্যে মৃত্যু হল খ্যছিয়াংয়ের। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪০
Share:
০১ ১৭

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চিনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াংয়ের। প্রায় ১০ বছর ধরে চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন খ্যছিয়াং। তিনি ছিলেন চিনের সপ্তম ‘প্রিমিয়ার’। তাঁর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বিবাদ’ এক সময় সর্বজনবিদিত ছিল। লিয়ের মৃত্যুর পর সেই প্রসঙ্গও ফের প্রকাশ্যে চলে এল।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৭

খ্যছিয়াং চলতি বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরেছেন। সে জায়গায় বসেছেন লি কিয়াং। পদ থেকে সরে যাওয়ার আট মাসের মধ্যে মৃত্যু হল খ্যছিয়াংয়ের। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৭

চিনের সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘সাংহাইয়ে অবসর জীবন কাটাচ্ছিলেন কমরেড খ্যছিয়াং। ২৬শে অক্টোবর হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। তবে কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তিনি সাংহাইতে মারা যান।’’

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৭

খ্যছিয়াংয়ের মৃত্যুতে সরকারে তরফে শোকবার্তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। চিনের এক দশকের প্রধানমন্ত্রী তথা মন্ত্রিসভার প্রধানের মৃত্যুতে কমিউনিস্ট দলের অনেক নেতাই শোকপ্রকাশ করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৭

খ্যছিয়াংয়ের মৃত্যুতে চিনের সমাজমাধ্যমে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বেশ কয়েকটি সরকারি ওয়েবসাইটের রং সাদা-কালো করে দেওয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৭

এক সময় খ্যছিয়াং ছিলেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। মনে করা হত, চিনের সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে নাকি ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৭

মনে করা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে খ্যছিয়াংয়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের দূরত্ব বেড়েছিল। চিনা অর্থনীতি নিয়েও নাকি মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতার মধ্যে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৭

মার্চ মাসে শেষ সাংবাদিক বৈঠকে খ্যছিয়াং বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বাতাস এবং মেঘ যে দিকেই বয়ে যাক না কেন, চিন অটল ভাবে নিজের দ্বার প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকবে।’’

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৭

২০২০ সালে চিনের দারিদ্র এবং আয়বৈষম্য নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন খ্যছিয়াং। তাঁর দাবি ছিল, চিনের ৬০ কোটি মানুষ মাসে ১২ হাজার টাকারও কম আয় করেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্ক তৈরি হয়। অস্বস্তি তৈরি হয় কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরেও।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৭

খ্যছিয়াংকে ‘ক্ষমতাহীন প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন চিনা রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং লেখক অ্যাডাম নি। অ্যাডামের দাবি ছিল, চিন সংস্কার এবং উন্মুক্তকরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং খ্যছিয়াং ইচ্ছা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কিছু করতে পারছেন না।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৭

খ্যছিয়াংয়ের জন্ম পূর্ব চিনের আনহুই প্রদেশের দরিদ্র কৃষি এলাকা হেফেইয়ে। তাঁর বাবা সরকারি আধিকারিক ছিলেন। চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় মাঠে কৃষিকাজ করতে হয়েছিল খ্যছিয়াংকে।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৭

চিনের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন খ্যছিয়াং। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন। স্নাতক হওয়ার পরে পরেই কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন খ্যছিয়াং।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৭

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকে গণতন্ত্রপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ে খ্যছিয়াংয়ের। রাজনীতির দিকেও ঝোঁক তৈরি হয়েছিল তাঁর। পড়াশোনা করতে করতেই তৎকালীন শীর্ষ নেতা দেং জিয়াওপিংয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৭

১৯৮০ সালে কমিউনিস্ট ইয়ুথ লিগের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্পাদক পদ লাভ করেন খ্যছিয়াং। ১৯৮২ সালে তিনি কমিউনিস্ট ইয়ুথ লিগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ঘোষিত হন এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বদের অন্যতম হয়ে ওঠেন।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৭

সেই সময় চিনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হু জিনতাওয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার সুযোগ হয় খ্যছিয়াংয়ের। ১৯৯৩ সালে খ্যছিয়াং কমিউনিস্ট ইয়ুথ লিগের মহাসচিব মনোনীত হন এবং ছয় বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করেন।

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ১৭

মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করার সময় এড্‌স কেলেঙ্কারির সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল খ্যছিয়াংয়ের। লিয়াওনিং প্রদেশের পার্টি প্রধান হিসেবেও কাজ করেন তিনি। লিয়াওনিং আধুনিক শিল্প তৈরি করার ক্ষেত্রেও অবদান রয়েছে খ্যছিয়াংয়ের।

ছবি: সংগৃহীত।

১৭ ১৭

চিনা অর্থনীতিতে বদল আনার জন্যও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন খ্যছিয়াং। তাঁকে ‘চিনের সংস্কারবাদের অন্যতম প্রতিনিধি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। যদিও তাঁর দশ বছরের শাসনকালে একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement