রাজস্থানের পরে এ বার মধ্যপ্রদেশেও বিধিনিষেধ আমিষ খাবার ও সামগ্রী বিক্রিতে। খোলাবাজারে আমিষ জিনিস যেমন মাছ, মাংস বা ডিম বিক্রি বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। এ ছাড়াও মাইক ব্যবহারের উপরেও বসছে নানা নিষেধাজ্ঞা।
সদ্য নির্বাচনে জিতে মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে বসেছেন মোহন যাদব। শুরু থেকেই অন্য ধাঁচের শাসন প্রয়োগ করছে তাঁর সরকার।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই বিধিনিষেধ সম্বন্ধে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ভারত সরকার যে ‘খাদ্য নিরাপত্তা বিধি’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে খোলাবাজারে মাছ, মাংস বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করার কথা বলেছে, আমরা তা কঠোর ভাবে অনুসরণ করব।’’
শিবরাজ সিংহ চৌহানের উত্তরসূরি হিলাবে মোহন বুধবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন।
তাঁর সঙ্গেই শপথগ্রহণ করেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, জগদীশ দেবড়া এবং রাজেন্দ্র শুক্ল।
এর পর মন্ত্রিসভার সংক্ষিপ্ত বৈঠকে প্রকাশ্য জায়গা এবং ধর্মস্থানে মাইক এবং লাউস্পিকার ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারির সিদ্ধান্ত হয়।
সেই সঙ্গে স্থির হয় প্রকাশ্যে আমিষ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির।
সাংবাদিক বৈঠকে মোহন বলেন, ‘‘রাজ্যের খাদ্য দফতর, পুলিশ, পুরসভাগুলিতে এই বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে মাছ-মাংস বিক্রি বন্ধ করার জন্য আগামী ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ প্রচার কর্মসূচি চালাতে।’’
বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, বিশেষ জনগোষ্ঠীকে নিশানা করেই আমিষের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবতে সক্রিয় হয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানেও বিজেপি বিধানসভা ভোটে জেতার পরেই দলের এক সদ্যনির্বাচিত বিধায়ক মাংসের দোকান এবং কসাইখানা বন্ধ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন।