ঝাঁ-চকচকে চারপাশ। নানা রকমের শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো অন্দরসজ্জা। রয়েছে আলোর রকমারি বাহার। চেন্নাই বিমানবন্দরের নবনির্মিত টার্মিনাল দেখলে তাক লেগে যেতে বাধ্য।
শনিবার চেন্নাই বিমানবন্দরের এই নবনির্মিত টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেন্নাইয়ের উন্নয়নে এই টার্মিনাল গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে আগেই টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন টার্মিনালের হাত ধরে স্থানীয় অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মোদী। পাশাপাশি বিমান পরিষেবার ক্ষেত্র আরও মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২ লক্ষ ২০ হাজার ৯৭২ বর্গমিটার জুড়ে রয়েছে তৈরি হয়েছে এই নতুন টার্মিনাল। বিমানযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে।
নতুন টার্মিনালের ফলে চেন্নাই বিমানবন্দরে যাত্রীধারণ ক্ষমতা আরও বাড়বে। বছরে ২ থেকে ৩ কোটি যাত্রী এই টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
চেন্নাই বিমানবন্দরের এই নয়া টার্মিনালে রয়েছে ১০৮টি অভিবাসন কাউন্টার।
টার্মিনালে রয়েছে ৮০টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬টি সেল্ফ ব্যাগেজ ড্রপ কাউন্টার। এ ছাড়াও রয়েছে ৮টি সেল্ফ চেক-ইন স্টেশন।
যাত্রী পরিষেবায় ঢেলে সাজানো হয়েছে টার্মিনাল। রয়েছে ১৭টি লিফ্ট, ১৭টি চলমান সিঁড়ি, ৬টি ব্যাগেজ রিক্লেম বেল্ট।
নতুন টার্মিনালের ফলে চেন্নাই বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা আরও মসৃণ হবে বলে দাবি করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতি ঘণ্টায় ৪৫টি বিমান ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবন্দরে।
যত্ন করে সাজানো হয়েছে টার্মিনালের অন্দরসজ্জা। রয়েছে নানা শিল্পকর্ম। ওই শিল্পকর্মে রয়েছে স্থানীয় তামিল সংস্কৃতির ছোঁয়া।
বিভিন্ন রকম শিল্পকর্মের পাশাপাশি রকমারি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে টার্মিনাল। যার জেরে আরও ঝলমলে দেখতে হয়েছে চারপাশ।
টার্মিনালটি তৈরি করতে ১২৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর চেন্নাই। ত্রিশুলামে রয়েছে এই বিমানবন্দর। দেশের ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি।
১৯৩০ সালে চালু হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দর। ৯৩ বছর পর এই ব্যস্ততম বিমানবন্দরে নতুন ঝাঁ-চকচকে টার্মিনাল তৈরি করা হল।