রাজ্যের পাওনার কর বাবদ একটি অতিরিক্ত কিস্তি বছর শেষেই ঢুকল রাজ্যের কোষাগারে। কর হস্তান্তরের ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একে রুটিন হস্তান্তর বলে দাবি করেছেন, এই পদ্ধতিতেই পাওনা অর্থ হস্তান্তর হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র।
পরের কিস্তি আবার নতুন বছরের ১০ জানুয়ারি আসবে। যদিও নির্মলা সীতারমনের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি অতিরিক্ত কিস্তি।
আনন্দবাজার অনলাইনকে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘কর বাবদ রাজ্যের যে পাওনা, তার একটি অতিরিক্ত কিস্তি দিল। এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই।’’
উল্লেখ্য, এর মধ্যে জিএসটির কাঠামো অনুযায়ী রাজ্যের যে পাওনা, সেই টাকা নেই। আয়কর-সহ অন্যান্য খাতে রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্র যা সংগ্রহ করে, তার একটি অংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়।
প্রতি মাসের ১০ তারিখের আশপাশে এই টাকা দেয় কেন্দ্র।
তবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে এই টাকা অতিরিক্ত কিস্তি বাবদ দেওয়া হল।
কর কাঠামোর টাকার কত অংশ রাজ্য পাবে, তা ঠিক করার অনেকগুলি মানদণ্ড রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনসংখ্যা।
সেই অনুযায়ী যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ১৩ হাজার ৮৮ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার, ৭ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। তৃতীয় মধ্যপ্রদেশ, ৫ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য এই অতিরিক্ত কিস্তিতে পেয়েছে ৫ হাজার ৪৮৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলার শাসকদল যে যে বিষয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে, তার মধ্যে যেমন ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা রয়েছে, তেমনই রয়েছে জিএসটি বাবদ বকেয়া।
তবে এই অর্থের সঙ্গে জিএসটি কাঠামোর কোনও সম্পর্ক নেই।