বয়স তখন মাত্র ২২। ব্যবসার ঝোঁক চাপে কণিকা টেকরিওয়ালের মাথায়। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। নেমে পড়লেন ব্যবসায়। ব্যবসাটা কিসের? প্রাইভেট জেট বিমানের!
২২ বছর বয়সে স্টার্ট-আপ ব্যবসা। সেটাও আবার প্রাইভেট জেটের! পরিচিতরা চমকে গিয়েছিলেন। করেছে কী মেয়ে!
তিনি জেটসেট-গো সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসা আকাশপথে ‘গাড়িভাড়া’ দেওয়ার। ঝকঝকে এই তরুণীর সাফল্যের কাহিনি চমকে দেবে আপনাকেও।
ইনস্টাগ্রামে কণিকা নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘স্মল টাউন গার্ল’, কিন্তু স্বপ্ন এক আকাশ সমান। বাস্তব জীবনেও তিনি তাই।
মাত্র ২২ বছর বয়সে এমন সাহসী ব্যবসায় নেমে তো পড়েছেন। কিন্তু ওই বছরই আক্রান্ত হলেন ক্যানসারে। দুরারোগ্য কর্কট রোগ হারিয়ে পরিবারের প্রায় অনিচ্ছাতেই এই ব্যবসা শুরু করেন কণিকা। আসলে দুরারোগ্য অসুখে পড়েও তিনি উড়তে চেয়েছিলেন।
সবে ১০ বছর ব্যবসা করেছেন কণিকা। ব্যবসা জমিয়ে ফেলেছেন। মাত্র ৩২ বছর বয়সে ১০টি প্রাইভেট জেটের মালিক তিনি!
কণিকার সংস্থা এমন একটি সংস্থা যা প্রাইভেট জেট এবং হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়।
কী ভাবে এমন একটা ব্যবসার ভাবনা মাথায় এল? কণিকার কথায়, ‘‘তখন আমি ছাত্রী। তিন বছর ধরে নিজের এই ব্যবসায়িক ভাবনায় শান দিয়েছি। বার বার ব্যবসার নকশা কষেছি। বার বার কেটেছি।’’ কিন্তু তার পরই ধরা পড়ল ক্যানসার।
এমন একটা অভিনব ব্যবসা ছকে ফেলা তরুণীর কথায়, ‘‘আমার ভাগ্য ভাল যে এমন একটা ব্যবসায়িক ভাবনা এখানে আর কারও মাথায় আসেনি।’’ এমনকি ক্যানসারে ভুগতে ভুগতেও তাঁর চিন্তা ছিল, প্রাইভেট জেটের ব্যবসাটা না কেউ ছকে ফেলেন।
এই দৌড়টা সহজ ছিল না। সফর নিদারুণ কঠিন। তবে অদম্য এই তরুণী যা ভাবেন, করেই ছাড়েন। গোঁড়া মাড়ওয়ারি পরিবারে জন্মানো এমবিএ পাশ কণিকা চান অন্য রকম কিছু করতে।
এই ব্যবসায় সাফল্য যেমন এসেছে, বাধাও কম নেই। বাবার আবাসন ব্যবসা। আসল বাড়ি চেন্নাইয়ে। পড়াশোনা পুরোটাই হস্টেলে।
পরে মুম্বইয়ে এসে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। তার পর একটি ডিপ্লোমা করেন। শেষে এমবিএ। কণিকা জানান, এই ব্যবসা করতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রচুর দালালের বাধায় পড়েছেন। কিন্তু থমকে থাকেননি। সফল এই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘এগিয়ে চলতে হয়। আর ভাবনায় শান দাও। সাফল্য আসবেই।’’