বয়স তো একটা সংখ্যা মাত্র। এ কথা বহু ক্ষেত্রে বহু লোক প্রমাণ করেছেন। অনেককে ৯০ বছর বয়সেও তরুণের মতো লম্ফঝম্প করতে দেখা যায়। তখন সত্যিই মনে হতে পারে, বয়স শুধু মাত্র একটা সংখ্যা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অনেকের বয়স বেশি হলেও, তা বোঝা যায় না। বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেলেও কোনও এক ‘অজানা রহস্যে’ তাঁদের সেই বয়স কারও কাছে ধরা পড়ে না। সম্প্রতি তেমনই এক মডেলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যাঁর আসল বয়স শুনে স্তম্ভিত হতে হবে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
চুয়ান্ডো ট্যান। সিঙ্গাপুরের মডেল। শুধু মডেলিংই নয়, ফোটোগ্রাফিও করেন ট্যান। আন্তর্জাতিক মানের একটি মডেলিং সংস্থাও চালান তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তাঁর সুঠাম চেহারা দেখলে চোখ ধোঁকা খেতে বাধ্য। ট্যানের আসল বয়স না জানা থাকলে কারও পক্ষে তাঁর বয়স ধরা সম্ভবই নয়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বয়সকে কী ভাবে ধরে রাখলেন ট্যান? সিঙ্গাপুরের এই মডেল মনে করেন, তাঁর খাদ্যাভ্যাসই বয়সকে ধোঁকা দেওয়ার আসল রহস্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
১৯৬৭ সালে জন্ম ট্যানের। বর্তমানে ৫৫ বছর বয়স তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে ট্যান বলেন, “আমার পঞ্চাশেরও বেশি বয়স হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বলেন, একেবারে কুড়ির তরুণের মতো দেখতে আমাকে। আমার মনে হয়, এর জন্য ৭০ শতাংশ দায়ী আমার খাদ্যাভ্যাস। আর ৩০ শতাংশ শরীরচর্চা।” ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ট্যান জানিয়েছেন, তিনি প্রাতরাশে ৬টি ডিমসেদ্ধ এবং ২টি কুসুম খান। তা ছাড়া তাঁর প্রাতরাশের তালিকায় রয়েছে এক গ্লাস দুধ। তবে মাঝেমধ্যে অ্যাভোকাডোও থাকে সেই তালিকায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ডিম ছাড়াও ট্যানের খাদ্যতালিকায় রয়েছে চিকেন, ভাত, মাছের ঝোল এবং নানা রকমের সব্জি। আইসক্রিমের প্রতি খুব দুর্বলতা রয়েছে তাঁর। তবে সে ক্ষেত্রেও সংযম রক্ষা করেই খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ট্যান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
চা, কফি বা মদ্যপান করেন না। ধূমপান থেকেও দূরে থাকেন ট্যান। রাতে গ্রিন স্যালাড খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
এক জন পপ গায়ক হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন ট্যান। কিন্তু পরে মডেলিং এবং ফোটোগ্রাফিকেই পেশা বানিয়ে ফেলেন। আর সেখান থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ট্যান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
২০১৭ সালে প্রথম ভাইরাল হয়েছিলেন ট্যান। চিনের একটি সংবাদমাধ্যম তাঁকে নিয়ে খবর করে। সেই সময়ও তাঁর বয়স এবং চেহারার জন্য খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সিঙ্গাপুরের এই মডেল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সমাজমাধ্যমে খুব সক্রিয় ট্যান। ২০১৫ সালে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। সেখানে নিজের নানা ধরনের মডেলিংয়ের ছবি প্রকাশ করতেই চিনা সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়েন তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সকলের কাছে তিনি চুয়ান্দো ট্যান নামে পরিচিত হলেও বন্ধুদের কাছে তিনি ‘সিডি’ নামে বেশি পরিচিত। ট্যানের দাবি, তিনি কোনও রকম ত্বককে টানটান রাখতে কোনও ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন না। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শুধু মডেলিং বা ফোটোগ্রাফি নয়, অভিনয়ও করেছেন ট্যান। ২০১৯ সালে ‘প্রেসাস ইজ় দ্য নাইট’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সিঙ্গাপুরের এই মডেল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
এক সাক্ষাৎকারে ট্যান বলেন, “আমি অনেক ধরনের কাজ করেছি। কিন্তু কিছুতেই মনসংযোগ করতে পারছিলাম না। ফোটোগ্রাফি আমার শখ ছিল। সেই শখ ধীরে ধীরে পেশায় বদলে যায়। তার পর সেখান থেকে ধীরে ধীরে মডেলিংয়ের জগতে ঢুকে পড়ি। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।” ছবি: ইনস্টাগ্রাম।