মঞ্চেই অনুরাগীর সঙ্গে প্রকাশ্যে সঙ্গমে লিপ্ত হলেন ব্রাজিলীয় গায়িকা। তাঁর কীর্তি ক্যামেরাবন্দি করেছেন অনেকেই। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন বিতর্ক।
ব্রাজিলের সঙ্গীতশিল্পী এমসি পিপোকিনহা। ২১ বছর বয়সি এই তরুণী গানের চেয়ে বেশি যৌন অনুষঙ্গে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এর আগেও একাধিক যৌনগন্ধী বিতর্কে তাঁর নাম জড়িয়েছে।
পিপোকিনহার বিতর্কিত কার্যকলাপে বিরক্ত তাঁর অনুরাগীদের একাংশও। এমন কিছু কিছু কাজ তিনি নির্দ্বিধায় করেছেন, যাতে অস্বস্তিতে পড়তে বাধ্য যে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। ফলে নেটাগরিকদের একাংশ ব্রাজিলীয় তারকার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।
ঠিক কী করেছেন পিপোকিনহা? তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযোগ, একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় তিনি এক মহিলা অনুরাগীর সঙ্গে প্রকাশ্যেই উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠেন। গানের মধ্যেই চলে যৌনতার খেলা।
ওই অনুরাগীর সঙ্গে মৌখিক সঙ্গম করেন পিপোকিনহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকমণ্ডলী তাঁদের কীর্তি দেখেন। অনেকেই রেকর্ড করেন ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গিয়েছে, শিল্পীর অনুরাগীর পরনে কোনও পোশাকই নেই। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পিপোকিনহার গানের মঞ্চে হঠাৎই উঠে পড়েন এক মহিলা ভক্ত। তিনি সরাসরি তারকার কাছে পৌঁছে যান এবং তাঁকে চুম্বন করেন। এর পর পিপোকিনহাও ওই মহিলা অনুরাগীকে চুম্বনে ভরিয়ে দেন।
তার পরেই নাকি মহিলা অনুরাগী মঞ্চে পোশাক খুলে ফেলেন। প্রিয় তারকার সঙ্গে প্রকাশ্যেই সঙ্গমে লিপ্ত হন। উপস্থিত দর্শকদের উপেক্ষা করেই চলতে থাকে যৌনতার খেলা।
অভিযোগ, যৌনগন্ধী খবরে প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন ব্রাজিলীয় এই গায়িকা। সেই কারণেই এমন বার বার অদ্ভুত কাণ্ড ঘটান। এর আগেও এক বার প্রকাশ্যে যৌনতার অভিযোগে তিনি শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।
ভিডিয়োটির জন্য পিপোকিনহার সামাজিক প্রোফাইলে অনুরাগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাঁর গানগুলিও আরও বেশি করে শুনেছেন মানুষ। ফলে যৌনতার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ব্রাজিলের এই গায়িকা সফল, মনে করছেন অনেকে।
এর আগে এক বার পিপোকিনহার স্তন কামড়ে ধরেছিল এক পোষ্য বিড়াল। সেই ভিডিয়ো তিনি নিজেই রেকর্ড করেছিলেন। বিড়ালকে দিয়ে এমন কাজ করানোর জন্য বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
ব্রাজিলের এক সাংসদ পিপোকিনহার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ওই বিড়ালকাণ্ডের পর। তাঁর বিরুদ্ধে পশুদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলা চলছে ব্রাজিলের আদালতে।
পিপোকিনহার বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তা নিয়েও সমাজমাধ্যমে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই ব্রাজিলীয় গায়িকা। তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তিনি বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও বড় বিতর্কের দিকে এগিয়েছেন নির্দ্বিধায়।
সমাজমাধ্যমের পাতায় পিপোকিনহাকে নিয়ে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি। কোনও ছবি বা ভিডিয়োতে তাঁকে দেখলেই বিরক্ত হয়ে ওঠেন কেউ কেউ।
পিপোকিনহা প্রসঙ্গে এক ব্যক্তি সরাসরি মন্তব্য করেন, ‘‘এই মহিলাকে দেখলেই আমার আফসোস হয়, কেন দেখলাম! ওঁর মুখ দেখতেই ইচ্ছা করে না।’’ কেউ আবার বলেন, ‘‘পিপোকিনহাকে পছন্দ করি, কিন্তু ওঁর এই উল্টোপাল্টা কাজ মোটেই ভাল লাগে না।’’
ভরা মঞ্চে অনুরাগীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার কারণে পিপোকিনহাকে নিয়ে যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাতেও তারকার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ। দাবি, এমন কোনও শাস্তি তাঁকে দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ তিনি আর না করেন। ব্রাজিলের আইন পিপোকিনহাকে শাস্তি দেবে কি? ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন সে দেশের আইনপ্রণেতারা। ছোটরা যাতে তাঁর অনুষ্ঠান না দেখেন, তা নিয়েও সরব হয়েছেন সে দেশের এক সাংসদ।