এক নয়, দুই নয়, ছ’জন স্ত্রী তাঁর। স্ত্রীদের সময় দিতে দিতেই দিন কেটে যায়। তবে সকলের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে চলেন যুবক।
সবই ঠিক ছিল, শুধু গোল বাঁধত শোয়ার সময়। প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা করে ঘুমাতে হত যুবককে। কোনও দিন এই ঘরে, তো কোনও দিন পাশের ঘরে কাটত রাতের পর রাত। এই ব্যবস্থা যুবকের মনের মতো হয়নি।
শোয়ার সময় ঘর বদলে বদলে ক্লান্ত যুবক এ বার তাই অন্য পন্থা অবলম্বন করলেন। তিনি নিজে আর ছয় জায়গায় না গিয়ে সকলকে এক বিছানায় নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করেছেন।
২০ ফুটের একটি বিছানা তৈরি করিয়েছেন ব্রাজিলের আর্থার। যুবক ঘোষিত বহুগামী। এক নারীতে তাঁর মন ভরে না। একাধিক সম্পর্কে থাকেন তিনি। একাধিক বার বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা ৬।
সব স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে একটি বিছানায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুবক। নতুন একটি পালঙ্ক তিনি তৈরি করিয়েছেন। যা লম্বায় ২০ ফুট, চওড়ায় ৭ ফুট।
এই বিছানা তৈরিতে যুবকের বিপুল খরচ হয়েছে বলে দাবি। প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা খরচ করে বিশাল এই বিছানা তিনি বানিয়েছেন। এই বিছানায় ৬ জন স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
যুবক জানিয়েছেন, এই বিশেষ বিছানা তৈরি করতে তাঁর ১৫ মাস সময় লেগেছে। ১২ জন কর্মী বিছানা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। এই পালঙ্কটি পোক্ত করতে দরকার হয়েছে ৯৫০টি স্ক্রু।
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে স্ত্রীদের নিয়ে থাকেন আর্থার। তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের একটি ওয়েবসাইটে ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন নিয়মিত। সেখান থেকেই তাঁর যাবতীয় রোজগার। আর্থার এবং তাঁর সঙ্গিনীরা এই ওয়েবসাইট থেকে মাসে ৫১ লক্ষ টাকা আয় করেন।
সমাজমাধ্যমেও নিয়মিত ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন যুবক। তাঁর ছকভাঙা দৈনন্দিন যাপনের ঝলক দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ২ লক্ষ ফলোয়ার।
নিয়মিত যৌন জীবনের নানা ঝলক প্রকাশ্যে আনেন ব্রাজিলের এই যুবক। কী ভাবে তিনি এত জন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখেছেন, অনুরাগীদের কাছে ভাগ করে নেন সেই সংক্রান্ত ‘টিপ্স’।
আর্থার জানান, তাঁদের যৌন জীবন অত্যন্ত সুখের। সকলের সম্মতিতেই তিনি এই বহুগামী সম্পর্কে আছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা সঙ্গমের আগে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করে নেন। তাতে নাকি ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কম।
অর্থাৎ, কবে কোন স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাবেন, আগে থেকে তা কথা বলে ঠিক করে নেন যুবক। যৌনতার একটি রুটিনও তিনি তৈরি করে রেখেছেন। যদিও রুটিন বার বার গুলিয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।
আর্থারের স্ত্রীর সংখ্যা এক সময় ছিল ৯। পরে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ৪ জনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই চার তরুণীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
পাঁচ স্ত্রীকে নিয়ে কিছু দিন থাকার পর সম্প্রতি আরও একটি বিয়ে করেছেন যুবক। তাই বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬-এ।
আর্থার জানিয়েছেন, ৬ জন স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে থাকতে কখনও তাঁকে সোফায়, কখনও বাধ্য হয়ে মাটিতে শুতে হত। সেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ২০ ফুটের নতুন বিছানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিছানাতে তাঁদের আগামী আরও সুখের হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী আর্থারের অনুরাগীরাও।