বুধবার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৬টা ৪ মিনিট। পাখির পালকের মতোচাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছুঁয়েছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম।
বিক্রম অবতরণের ১৪ ঘণ্টা পর ইসরো তাদের এক্স-হ্যান্ডলে (টুইটার) পোস্ট করে জানায়, বিক্রমের পেট থেকে ধীর গতিতে বেরিয়ে এসে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে নেমে এসেছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে ভারত। কিন্তু চন্দ্রযান-৩ পৌঁছনোর আগেই যে চাঁদের মাটিতে বলি তারকারা জমি কিনে রেখেছেন, তা জানেন কি?
চাঁদের মাটিতে জমি কিনে রেখেছেন বলিউডের ‘বাদশাহ’ শাহরুখ খান।
বহু বছর আগে চাঁদে কয়েক একর জমি কিনেছেন শাহরুখ। ২০০৯ সালে সেই কথা স্বীকার করেন অভিনেতা।
শাহরুখ এক পুরনো সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা প্রায় প্রতি বছর শাহরুখের জন্য চাঁদে জমি কেনেন।
শাহরুখ জানিয়েছেন, চাঁদের যে পরিমাণ জমি তিনি কিনেছেন, তার বিশেষ নামকরণও করা হয়েছে। শাহরুখের চাঁদে কেনা জমির নাম ‘সি অফ ট্রানকুইলিটি’।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চাঁদে এক একর বা ৪০৪৬ বর্গমিটার জমির মূল্য ৩৭ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩০৫৪ টাকার কাছাকাছি।
শাহরুখ পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘প্রতি বছর আমার জন্মদিনে অস্ট্রেলিয়াবাসী এক মহিলা আমার জন্য চাঁদে জমি কেনার বন্দোবস্ত করেন। আমি যে চাঁদে জমি কিনেছি তার প্রমাণ হিসাবে ‘লুনার রিপাবলিক সোসাইটি’র তরফে একটি শংসাপত্রও দেওয়া হয় আমাকে।’’
অস্ট্রেলিয়ার যে মহিলা শাহরুখের জন্য চাঁদে জমি কেনেন তিনি নাকি রংবেরঙের ইমেল লিখে পাঠান অভিনেতাকে। অর্থাৎ, এক লাইন লিখতে লাল রং ব্যবহার করেন। পরের লাইন লিখতে অন্য রং ব্যবহার করেন। শাহরুখের কথায়, ‘‘এই ব্যবহারগুলোতেই ভালবাসা ফুটে ওঠে।’’
শুধু শাহরুখই নন, বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতেরও নাকি চাঁদে জমি রয়েছে।
চাঁদে সুশান্তের যে জমি রয়েছে তার নাম ‘সি অফ মাসকোভি’।
শোনা যায়, চাঁদে জমি কিনতে আনুমানিক ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল সুশান্তের।
শনিবার সকালে গ্রিস থেকে ফিরে বেঙ্গালুরুর ইসরোর দফতরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে তৃতীয় চন্দ্রযানের অবতরণস্থলের নামকরণ করলেন তিনি। সেই অবতরণস্থল এখন থেকে ‘শিবশক্তি’ নামে পরিচিত হবে।
এমনকি ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল সে জায়গারও নামকরণ করলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী তার নাম দিলেন ‘তেরঙা’। তৃতীয় চন্দ্রযানের সাফল্যের জন্য ২৩ অগস্ট দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসাবেও ঘোষণা করেন তিনি।