যোগাসন শুধু দেহের ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, মানসিক দুশ্চিন্তা, অবসাদ দূর করতেও যোগাসনের অবদান প্রচুর। যোগ প্রশিক্ষক বা যোগ গুরুরাই নন, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাসন করেন বলিউডের অভিনেত্রীরা।
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা। তিনি যখন ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছিলেন তখন তাঁর ফিজিওথেরাপিস্ট যোগাসন করার পরামর্শ দেন।
তার পর থেকেই তিনি নিয়মিত যোগাসন করেন। এমনকি, শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম, যোগাসন, ডায়েট সম্পর্কিত বিষয় এবং তার উপকারিতার সম্পর্কে নেটমাধ্যমে প্রশিক্ষণও দেন তিনি।
দুই সন্তানের মা হওয়ার পরেও করিনা কপূর খান আজও নবাগতা নায়িকাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে ‘ফিট’ রাখতেই তিনি যোগাসন শুরু করেন।
প্রতি সকালে মোট ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে তিনি দিন শুরু করেন। নেটমাধ্যমে মাঝে মাঝেই তাঁকে নানা ধরনের আসনের ছবি ও ভিডিয়ো আপলোড করতে দেখা যায়।
মালাইকা অরোরা খান অভিনেত্রীর পাশাপাশি এক জন নৃত্যশিল্পীও। কয়েক বছর আগে নাচ করার সময় তিনি আহত হন। সেই ব্যথা কমানোর জন্য তিনি যোগাসন শুরু করেন।
এমনকি, মুম্বইতে বান্দ্রার হিল রোড এলাকায় ‘ডিভা’ নামে একটি স্টুডিয়োও খুলেছেন তিনি। সকলকে যোগাসন শেখানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
অভিনয় জগতে আসার আগে সারা আলি খান তাঁর ওজন নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। এক সময় তাঁর ৯৬ কেজি ওজন ছিল। এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল সারাকে।
ওজন কমাতে তিনি ব্যায়াম, যোগাসন শুরু করেন। যোগাসনের উপকারিতা নিয়েও বহু জায়গায় কথা বলেছেন সারা।
শুধু ওজন কমাতেই নয়, অভিনেত্রী দিয়া মির্জা বিশ্বাস করেন, নিজের শরীর ও মনকে একই সুতোয় বাঁধতে নিয়মিত ধ্যান ও যোগাসন করা উচিত।
তাঁর ধারণা, খোলা আকাশের নীচে, প্রকৃতির কোলে যোগাসন করলে তা লাভজনক বেশি।
অভিনেত্রী রকুল প্রীতও নিয়মিত যোগাসন চর্চা করেন। ইনস্টাগ্রামে রকুল প্রায়ই তাঁর ‘ফিটনেস ডায়েরি’-এর ঝলক তুলে ধরেন।
শুধু অভিনেত্রীরাই নন, এই তালিকায় রয়েছেন শহিদ কপূরের স্ত্রী মীরাও।
নেটমাধ্যমে বিভিন্ন ‘ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপ’-এর মাধ্যমে তিনি যোগাসনের উপকারিতার বিষয়ে জানান। তাঁর মতে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ জীবন যাপন করতে যোগাসন ভীষণ উপকারী।