১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মোহরা’ ছবির ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানটির কথা মনে পড়ে? উদিত নারায়ণ এবং অলকা যাজ্ঞিকের কণ্ঠ যেমন গানটিকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল, ঠিক তেমনই গানের দৃশ্যে অক্ষয় কুমার এবং রবীনা টন্ডনের রসায়ন দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।
‘মোহরা’ ছবির শুটিংয়ের পর থেকেই মায়ানগরীতে কানাঘুষো চলতে থাকে অক্ষয় এবং রবীনার সম্পর্ক নিয়ে। শোনা গিয়েছিল, প্রেমপর্ব চলাকালীন রবীনাকে বাগ্দানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অক্ষয়।
কিন্তু অক্ষয় এবং রবীনা বলিপাড়ার এই তারকা জুটির চারহাত এক হতে পারেনি। বলি অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্নাকে বিয়ে করেন অক্ষয়। অনিল ঠাডানির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন রবীনা।
অক্ষয় এবং রবীনার সম্পর্কচ্ছেদের পর তাঁদের রসায়ন নিয়ে বলিপাড়ায় কম আলোচনা হয়নি। মাঝেমধ্যে প্রাক্তনকে নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে রবীনাকে।
তবে রবীনা সব বিষয়েই বেশ খোলামেলা। পর্দায় ধর্ষণের দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হোক, বা তাঁকে বিদ্রুপ করা নিয়ে আলোচনা— রবীনাকে খোলামেলা ভাবেই উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে সব প্রশ্নের। কিন্তু অক্ষয়ের সঙ্গে বাগ্দান পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই গম্ভীর হয়ে পড়লেন রবীনা।
সম্প্রতি এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রবীনার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক নিয়ে কথা ওঠে। তাঁদের সম্পর্ক এক সময় বহুল চর্চিত ছিল। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের কিছু ব্যক্তিগত দিক তুলে ধরেন রবীনা।
রবীনা জানান, সম্পর্কে থাকাকালীন অক্ষয় তাঁকে তাঁর কেরিয়ার এবং সম্পর্কের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে বলেছিলেন।
বাগ্দান পর্ব ভেঙে যাওয়ার ঘটনা নায়িকার জীবনে গভীর ছাপ ফেলে দিয়েছিল। এখনও সেই আঘাতের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন রবীনা।
রবীনা সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘কলেজে পড়াকালীন মেয়েরা একের পর এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনবরত তাঁদের প্রেমিক বদল হতে থাকে। মানুষের জীবনের ধর্মই হল, অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমার মন কিছুতেই বাগ্দানের ঘটনা বেরোতে পারে না।’’
রবীনা জানিয়েছেন, ‘মোহরা’র পর অক্ষয় এবং তাঁর জুটি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এল তখন অক্ষয়ের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের মধ্যে যেন যুদ্ধ লেগে গিয়েছিল।
রবীনার দাবি, অক্ষয়ের জীবন থেকে সরে আসার পর তিনি অন্য এক জনকে ডেট করতেন। এমনকি, অক্ষয়ও অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রবীনা জানান, অক্ষয় এবং তাঁর মধ্যে হিংসার কোনও জায়গাই ছিল না।
এখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হলে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ভাল করে কথা বলেন বলে জানান রবীনা। দু’জনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী।
কিন্তু অক্ষয়ের মন বেশি দিন এক জায়গায় টিকত না বলে জানিয়েছেন রবীনা। অক্ষয় একদম ভরসার যোগ্য ছিলেন না, দাবি নায়িকার।
অক্ষয় নাকি যে মেয়েকেই সামনে দেখতেন, তাঁকেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসতেন। এমনটাই জানিয়েছেন রবীনা। অনেকেই রবীনাকে কটাক্ষ করে বলেন যে, বড় পর্দার বাইরে অক্ষয় কত বড় ‘খিলাড়ি’ ছিলেন, তা নাকি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন রবীনা।
রবীনা জানিয়েছেন যে, সংবাদমাধ্যমে অক্ষয় এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কিছু লেখালেখি হলে তিনি সেগুলো পড়েন না। সন্তর্পণে এড়িয়ে যান। রবীনা আর তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও গুজবও শুনতে চান না।
তবে সাক্ষাৎকারে অক্ষয় প্রসঙ্গে সাংঘাতিক মন্তব্য করেছেন রবীনা। অভিনেত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অক্ষয় নাকি অবিকল রবীনার মতো দেখতে মহিলাদের খুঁজে বেড়াতেন। এমনকি, হুবহু রবীনার মতো দেখতে এক মহিলার সঙ্গে কয়েক দিনের জন্য সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন অক্ষয়।