মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু। তার পর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন নম্রতা শিরোদকর। কিন্তু বলিপাড়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন এক বলি পরিচালক।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক থেকেই বলিউডে অভিনয় শুরু করেন নম্রতা। অক্ষয় কুমার এবং সুনীল শেট্টির সঙ্গে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ছবির কাজও সম্পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি।
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘যব প্যার কিসিসে হোতা হ্যায়’ ছবিতে সলমন খান এবং টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গে অভিনয় করেন নম্রতা। পার্শ্বচরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
তার পর হিন্দি, কন্নড় এবং মালয়ালম ছবিতে অভিনয় করলেও বলিপাড়ায় তেমন নামডাক হচ্ছিল না নম্রতার। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাস্তব: দ্য রিয়্যালিটি’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি।
মহেশ মঞ্জরেকরের পরিচালনায় ‘বাস্তব: দ্য রিয়্যালিটি’ ছবির কাজ শুরু হয়। সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় নম্রতাকে। কিন্তু পর্দার পিছনে অন্য গল্প বোনা শুরু হয়।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, মহেশের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নম্রতা। মহেশের সঙ্গে নম্রতার বয়সের ব্যবধান ১৪ বছরের। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা মানেনি।
ছবির শুটিং চলার সময় মহেশের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন নম্রতা। সেই সময় মহেশ বিবাহিত ছিলেন। নম্রতার সঙ্গে মহেশের সম্পর্কের কথা দু’জনেই গোপন রেখেছিলেন।
কিন্তু ‘বাস্তব: দ্য রিয়্যালিটি’ ছবির পর মহেশ যে ভাবে নম্রতার প্রচার করছিলেন, তা দেখে বলিপাড়ার সকলেই আন্দাজ করেছিলেন যে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, হিন্দি ফিল্মজগতে কাজ শুরু করার সময় দীপক শেট্টি নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কে এসেছিলেন নম্রতা। কিন্তু মহেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার পর দীপকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন নায়িকা।
বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, মহেশের সঙ্গে নাকি একত্রবাসও করেন নম্রতা। মহেশের পরিচালনায় ‘অস্তিত্ব’, ‘হাতিয়ার’, ‘তেরা মেরা সাথ রহে’ ছবিতে কাজ করেন নম্রতা।
কিন্তু মহেশের সঙ্গে নম্রতার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, অন্য মহেশের প্রতি অনুভূতি তৈরি হওয়ার কারণে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে সরে আসেন অভিনেত্রী।
২০০০ সালে ‘ভামসী’ নামের একটি তেলুগু ছবিতে অভিনয়ের সূত্রে মহেশ বাবুর সঙ্গে আলাপ হয় নম্রতার। সেই আলাপ বন্ধুত্বে গড়াতে বেশি সময় নেয়নি।
পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০০৫ সালে মহেশ বাবুকে বিয়ে করেন নম্রতা। বিয়ে করার পর অভিনয়জগৎ থেকে দূরে সরে আসেন তিনি। এখন স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসারেই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
অভিনয়কে কেন এত অল্প সময়ে বিদায় জানালেন সেই প্রসঙ্গে নম্রতা বলেন, ‘‘আমি ভীষণ অলস। যখন মডেলিং করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম সেই সময় অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিই। কাজটা ভালবেসেই করছিলাম। তখনই মহেশের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। তবে কোনও অভিযোগ না রেখেই বলছি, তখন যদি কাজটাকে আর একটু গুরুত্ব দিতাম, আজ জীবনটা হয়তো অন্য রকম হত।’’
নম্রতার কথায়, ‘‘আমি জীবনে কোনও কিছুই যে খুব পরিকল্পনা করে করেছি তেমনটা নয়। যা হয়েছে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে। আমি জীবনে যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছি, তাতে খুশি।’’