এক দিকে করিনা কপূর খান অন্য দিকে শাহিদ কপূর। দুই তারকা নিজেদের কেরিয়ার এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এখনও তাঁদের চিড় ধরা সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় গুঞ্জন কম হয় না।
শাহিদ এবং করিনার সম্পর্ক কোনও পরিণতি না পেলেও পাঁচ বছর একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন দু’জনে। দর্শকের মনেও জায়গা করে নিয়েছিল এই জুটি।
বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, সম্পর্কের পথে প্রথম পা ফেলেছিলেন শাহিদ নিজেই। কিন্তু দুই তারকার প্রেমকাহিনি এর বিপরীত।
করিনা তাঁর সঙ্গে শাহিদের সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন বলি পরিচালক কর্ণ জোহরের সঙ্গে। কর্ণের সঙ্গে আড্ডায় করিনা তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন।
করিনা জানান, শাহিদ নন, বরং সম্পর্ক গড়ে ওঠার নেপথ্যের মূলে ছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। সম্পর্কে থাকাকালীন করিনা তাঁর জীবনে শাহিদকে বিশেষ আসনে বসিয়েছিলেন বলে দাবি করেন কপূর-কন্যা।
শাহিদ যে করিনাকে এড়িয়ে চলতেন সে কথাও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘ইশক ভিশক’ ছবিতে শাহিদের অভিনয় নজরে আসার পর প্রথম দেখাতেই অভিনেতাকে পছন্দ হয়ে যায় করিনার।
শাহিদের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন করিনা। টেক্সট থেকে শুরু করে ফোনের মাধ্যমে শাহিদের সঙ্গে কথা বলার অনবরত চেষ্টা করতেন অভিনেত্রী।
কিন্তু করিনার চেষ্টাগুলিকে বিশেষ পাত্তা দিতেন না শাহিদ। অভিনেত্রীর দাবি, টানা দু’মাস ধরে শাহিদের সঙ্গে মোটামুটি একতরফা যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি।
করিনা নিজে থেকেই শাহিদের সঙ্গে বাইরে দেখা করতে চাইতেন। কিন্তু শাহিদ শুরুর দিকে করিনার সঙ্গে দেখাও করতেন না বলে জানান করিনা।
করিনার একতরফা প্রচেষ্টার পর ধীরে ধীরে শাহিদের তরফেও আগ্রহ দেখা দেয়। দু’দিক থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি বাইরেও দেখা করতে শুরু করেন দুই তারকা।
টানা পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন করিনা এবং শাহিদ। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় করিনা এবং শাহিদের সম্পর্কে চিড় ধরার নেপথ্যে ছিল অভিনেত্রীর পরিবার।
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, করিনার মা ববিতা এবং বোন করিশ্মা কপূর চাইতেন না যে শাহিদের সঙ্গে করিনা সম্পর্ক বজায় রাখুক। তাঁদের নির্দেশ মেনেই নাকি শাহিদের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন করিনা।
শাহিদ এবং করিনার বিচ্ছেদের পর ২০১২ সালে বলি অভিনেতা সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন করিনা। বর্তমানে দুই পুত্রসন্তানের মা তিনি।
করিনা এবং সইফের বিয়ের প্রায় তিন বছর পর মীরা রাজপুতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শহিদ। এক পুত্রসন্তান এবং এক কন্যাসন্তান নিয়ে মুম্বইয়েই থাকেন শাহিদ।