২০ মাস পর টুইটারে ফিরে এলেন কঙ্গনা রানাউত। ফিরে আসার পরে আবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। ‘পাঠান’ ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর টুইট ঝড়।
‘পাঠান’ ছবি মুক্তির পর তার সাফল্য নিয়ে যখন সকলের জয়গান গাওয়া হচ্ছে, সেই মুহূর্তে ছবির নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে একটি টুইট করেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার মতে, যাঁরা ‘পাঠান’ ছবির টিকিট কিনছেন এবং এই ছবিকে এত ভাল বলছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তবে ছবির নাম ‘পাঠান’ দেওয়া হয়েছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার দাবি, এই ছবির নাম ‘ইন্ডিয়ান পাঠান’ দেওয়া উচিত ছিল।
কঙ্গনা টুইট করে লিখেছেন, ‘‘বক্স অফিসে পাঠান যতই সফল হোক না কেন, দিনের শেষে শুধুমাত্র একটি নামই রয়ে যাবে— জয় শ্রী রাম।’’
‘পাঠান’ ছবি সম্পর্কে কঙ্গনা টুইটারে লিখে জানিয়েছেন যে, খান এবং মুসলিম তারকাদের প্রতি দেশবাসীর ভালবাসা বরাবরের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
কঙ্গনার এই টুইটে পাল্টা উত্তর দিয়েছেন উরফি জাভেদ। তাঁর মতে, ধর্ম দিয়ে শিল্পের বিচার করা যায় না। তাঁরা শুধুমাত্রই অভিনেতা। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের কোনও অর্থ নেই।
তবে কঙ্গনা জানিয়েছেন যে, দেশে বিভাজন থাকবেই। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকলে দেশে এই বিভাজন আর থাকবে না বলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা। সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন অভিনেত্রী।
চলতি বছরের ২০ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি। ছবির পরিচালনা থেকে প্রযোজনা এবং মুখ্যচরিত্রে অভিনয়— সব ভূমিকাতেই দেখা যাবে কঙ্গনাকে।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবন অবলম্বনে তৈরি ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।
কঙ্গনা টুইটে লিখে জানিয়েছিলেন যে, ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি বানানোর জন্য অভিনেত্রীকে তাঁর সম্পত্তি পর্যন্ত বন্ধক রাখতে হয়েছে।
কঙ্গনার প্রশ্ন, ‘‘টাকা তো অনেকেই উপার্জন করেন। কিন্তু টাকা ওড়াতে কত জনকে দেখেছেন?’’
কঙ্গনার দাবি, তিনি এমন ছবি বানিয়েছেন, যে ছবিতে ভারতীয় সংবিধানকে উদ্যাপন করা হবে। এই ধরনের ছবির জন্য সম্পত্তি বন্ধক রাখতেও রাজি অভিনেত্রী।
কঙ্গনার বক্তব্য, একটা ছবির জন্য নিজের বাড়ি থেকে দফতর পর্যন্ত বন্ধক রেখেছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেননি।
সমাজমাধ্যমের পাতায় বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য একাধিক বার বিতর্কের মুখে পড়েছেন কঙ্গনা। বার বার টুইটারের নিয়মভঙ্গ করার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ২০২১ সালের মে মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। ২০ মাস পর আবার ফিরে এসে উত্তেজনামূলক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তিনি। নীরব মোদীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি ওই বিতর্কেরই সংযোজন মাত্র।