বলিপাড়ায় সাধারণত যা রটে, তার কিছু ঘটেই। সেই ধারণাকে আরও এক বার সত্যি প্রমাণ করে দিয়ে এষা দেওল প্রকাশ্যে আনলেন নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর। এক দশকেরও বেশি সময়ের সংসার জীবনে ইতি টানলেন হেমা মালিনি এবং ধর্মেন্দ্রর বড় মেয়ে এষা।
গুজবের সূত্রপাত, এষাকে নিয়েই। গত কয়েক মাস ধরেই মায়ের বাড়িতেই থাকছিলেন এষা। অনেক দিন ধরেই সেই জের টেনে সমাজ মাধ্যমে জল্পনা চলছিল তাঁর বিচ্ছেদ নিয়ে।
অবশেষে বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিলেন এষা ও তাঁর স্বামী ভরত তখতানি।
২০১২ সালের জুন মাসে হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এষা।
২০১৭ সালে প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম দেন এষা। তার দু’বছর পর দ্বিতীয় সন্তান মীরার জন্ম।
সাজানো-গোছানো সংসার ছিল। কিন্তু চিড় ধরে সেই সুখের সংসারে।
শোনা যাচ্ছে, এষার স্বামী ভরত নাকি পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান। বেঙ্গালুরুতে প্রেমিকার সঙ্গে একত্রবাসে রয়েছেন। সেই কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এষা।
যদিও বিচ্ছেদের খবর সিলমোহর দিয়ে দিল্লি টাইমস্কে এষা ও ভরত বলেন, ‘‘আমার যৌথসম্মতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাদা হয়েছি। আমাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ আমাদের দুই সন্তান। এই সময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় থাকবে এটাই আশা করব।’’
সন্দেহের সূত্রপাত্র গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে। বলা ভাল, ‘গদর ২’-এর সাকসেস পার্টির সময় থেকে।
হেমা মালিনীর জন্মদিন থেকে শুরু করে বলিউডের কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান, সব জায়গায় একা এষা।
যদিও দেওল পরিবারের সব ক’টি অনুষ্ঠানে এষাকে দেখা যেত তাঁর স্বামীর সঙ্গে। গত কয়েক মাস ধরেই নাকি ছাড়া ছাড়া।
শোনা যাচ্ছে, দুই মেয়েকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে থাকেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি আইরা খানের বিয়ের অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গে দেখা যায় এষাকে।
এমনকি, অভিনেত্রীর জন্মদিনেও দেখা মেলেনি তাঁর স্বামীর।
যা এত দিন শুধু রটনা বলে ভেবেছিলেন অনেকে, সেটাই সত্যি বলে জানালেন হেমা মালিনীর কন্যা।