আমির খান, সলমন খান থেকে শুরু করে করিনা কপূর খানের মতো হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতনামী তারকাদের প্রথমে পছন্দ করা হলেও পরে নানা কারণে হিট হিন্দি ছবি থেকে বাদ পড়েন তাঁরা। তালিকায় রয়েছে অন্য বলি তারকার নামও।
২০০৩ সালে কর্ণ জোহরের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কাল হো না হো’। শাহরুখ খান, সইফ আলি খান এবং প্রীতি জ়িন্টার অভিনয় এই রোম্যান্টিক ঘরানার ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল। তবে নায়িকা হিসাবে প্রীতি নন, ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন অন্য তারকা।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘কাল হো না হো’ ছবিতে নায়িকা হিসাবে প্রথমে করিনা কপূর খানকে পছন্দ করেছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু পারিশ্রমিকের পরিমাণ মনের মতো না হওয়ার কারণে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন করিনা।
২০০৭ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় স্পোর্টস ঘরানার ছবি ‘চক দে! ইন্ডিয়া’। শাহরুখ খানের কেরিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিনেমাগুলির মধ্যে একটি। তবে এই ছবিতে কবীর খানের চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না শাহরুখ।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সলমন খান জানিয়েছিলেন, ‘চক দে! ইন্ডিয়া’য় অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথমে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলে শাহরুখকে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র ‘চক দে! ইন্ডিয়া’ই নয়, শাহরুখের অন্য একটি ছবির জন্যও সলমনকে প্রথম পছন্দ করা হয়েছিল। সলমন জানিয়েছিলেন, ‘বাজিগর’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি।
কর্ণ জোহর তাঁর ছবি ‘দোস্তানা ২’-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে পছন্দ করেছিলেন কার্তিক আরিয়ানকে। কিন্তু পরে অভিনেতাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কর্ণের প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়, পেশাগত কারণে কার্তিককে ছবি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডর’। এই ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়োন শাহরুখ খান। কিন্তু এই ছবির জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন বলিপাড়ার অন্য খান।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘ডর’ ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় পছন্দ করা হয়েছিল আমির খানকে। চিত্রনাট্যের খসড়া পাঠের পর চরিত্র নির্মাণ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন আমির। মনের মতো চরিত্র না হওয়ায় ‘ডর’ ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় আমিরকে।
২০০৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় কমেডি ঘরানার ছবি ‘মস্তি’। তারকাখচিত এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় অজয় দেবগন, আফতাব শিবদাসানি, বিবেক ওবেরয়, অমৃতা রাও, লারা দত্তের মতো বলি তারকাদের।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘মস্তি’ ছবিতে মীত চরিত্রের জন্য প্রথমে পছন্দ করা হয়েছিল রীতেশ দেশমুখকে। কিন্তু রীতেশকে পরে সেই ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। শেষে সেই চরিত্রে বিবেককে অভিনয় করতে দেখা যায়।
২০০৪ সালে ফারহান আখতারের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘লক্ষ্য’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চন, হৃতিক রোশন এবং প্রীতি জ়িন্টাকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘লক্ষ্য’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথমে বলি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছবিনির্মাতারা। কিন্তু পরে তাঁকে সেই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০০৩ সালে ‘তেরে নাম’ ছবিতে সলমন খানের বিপরীতে অভিনয় করে বলিপাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ভূমিকা চাওলা। কানাঘুষো শোনা যায়, এর পর তাঁকে তিনটি ছবির জন্য পছন্দ করা হলেও পরে বাদ দেওয়া হয়।
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, ‘জব উই মেট’, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ এবং ‘বাজিরাও মস্তানি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ভূমিকাকে পছন্দ করেছিলেন ছবিনির্মাতারা। পরে তাঁকে পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০০৩ সালে অনুরাগ বসু পরিচালিত ‘সায়া’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় জন আব্রাহম, তারা শর্মা এবং মহিমা চৌধুরীকে। কানাঘুষো শোনা যায়, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ক্যাটরিনা কইফকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনের বিপরীতে অভিনয় করতে হবে শুনে তিনি আর সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।