একতা কপূর এবং শোভা কপূরের প্রযোজনায় চলতি বছরের ২৫ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ড্রিম গার্ল ২’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা, অনন্যা পান্ডে, পরেশ রাওয়াল, বিজয় রাজ, রাজপাল যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকারা। নায়কের চরিত্রের পাশাপাশি এই ছবিতে নারীচরিত্রেও অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন আয়ুষ্মান।
তবে আয়ুষ্মান একাই নন, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে বলিপাড়ার বহু অভিনেতাই নারীচরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজর কে়ড়েছেন। প্রয়োজনমতো মেকআপ এবং বেশভূষায় নিজেদের সাজিয়ে তুলেছেন সেই অভিনেতারা। এই তালিকায় রয়েছেন ঋষি কপূর, আমির খান, সলমন খানের মতো তারকারা।
১৯৬৮ সালে প্রকাশ মেহরার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হাসিনা মান জায়েগি’। এই ছবিতে অভিনয় করেন শশী কপূর, ববিতা কপূর এবং গোবিন্দ-সহ আরও অনেকে। শশীকে এই ছবির দৃশ্যে নারীচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।
১৯৭৫ সালে নরেন্দ্র বেদীর পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘রফু চক্কর’। এই ছবিতে অভিনয় করেন ঋষি কপূর এবং নিতু সিংহ। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে এই ছবিতে নারীর সাজে ধরা দিয়েছিলেন ঋষি।
১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাজি’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান এবং মমতা কুলকার্নি। এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আশুতোষ গোয়ারিকর।
‘বাজি’ ছবিতে ইনস্পেক্টর অমর দামজি রাঠৌরের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় আমিরকে। কিন্তু চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে মিস্ জুলি চতুর্বেদী নামের এক নারীচরিত্রেও অভিনয় করেন আমির।
নব্বইয়ের দশকে নারীচরিত্রে অভিনয় করে দর্শককে তাক লাগিয়ে দেন দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসন। ১৯৯৭ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘চাচি ৪২০’।
পরিচালনা এবং প্রযোজনায় পাশাপাশি ‘চাচি ৪২০’ ছবিতে অভিনয়ও করেন কমল। কমলের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তব্বু, অমরীশ পুরী, ওম পুরী, পরেশ রাওয়াল, আয়েশা জুলকা, জনি ওয়াকারের মতো তারকাদের।
‘চাচি ৪২০’ ছবিতে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় কমলকে। কখনও জয়প্রকাশ কখনও বা লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন কাড়েন অভিনেতা। লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করে নারীচরিত্র নিপুণ ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সফল হন কমল।
২০০৬ সালে সুভাষ ঘাইয়ের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় কমেডি ঘরানার ছবি ‘আপনা স্বপ্না মানি মানি’। এই ছবিতে সুনীল শেট্টি, শ্রেয়স তলপড়ে, রীতেশ দেশমুখ, জ্যাকি শ্রফ, চাঙ্কি পান্ডে, রাজপাল যাদব, কোয়েনা মিত্র, সেলিনা জেটলি, রিয়া সেনের মতো বলি তারকারা অভিনয় করেন।
‘আপনা স্বপ্না মানি মানি’তে একাধিক তারকা থাকলেও চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে বড় পর্দায় নিপুণ ভাবে অভিনয় করে নারীচরিত্র ফুটিয়ে তোলেন রীতেশ।
২০০৬ সালে শিরীষ কুন্দ্রের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘জানেমন’ ছবিটি। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন অক্ষয় কুমার, সলমন খান এবং প্রীতি জ়িন্টা।
চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে ‘জানেমন’ ছবিতে নারীচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সলমনকে। এমনকি অ্যাকশন দৃশ্যেও অভিনয় করেন ‘মহিলা’ সলমন।
২০০১ সালে সতীশ কৌশিকের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’ ছবিটি। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলিপাড়ার বহুল চর্চিত জুটি শাহিদ কপূর এবং করিনা কপূর খান। শাহিদ এই ছবির দৃশ্যে নারীচরিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৯ সালে সুভাষ ঘাই প্রযোজিত ‘পেয়িং গেস্টস’ ছবিতে অভিনয় করেন শ্রেয়স তলপড়ে, জাভেদ জাফ্রে, বৎসল শেঠ, আশিস চৌধুরি, সেলিনা জেটলি, রিয়া সেন, নেহা ধুপিয়ার মতো তারকারা। এই ছবিতে নারীচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় শ্রেয়সকে।