২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দীর্ঘকালীন প্রেমিকা লিন লাইশ্রমকে বিয়ে করেছেন অভিনেতা। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সুস্মিতা সেনের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয় এখনও। বেশ কয়েক বছর সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রণদীপ। তবে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার ঘটনা অভিনেতা তাঁর জীবনের ‘সেরা মুহূর্ত’ বলে দাবি করেন।
২০০১ সালে ‘মনসুন ওয়েডিং’ ছবিতে অভিনয় করে বড় পর্দায় পা রাখেন রণদীপ। তার আগে মডেল হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ‘ডি’, ‘ডরনা জরুরি হ্যায়’, ‘রিস্ক’, ‘রুবারু’, ‘লভ খিচড়ি’ নামের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় রণদীপকে।
২০০৯ সাল পর্যন্ত একাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও একটি ছবিও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি রণদীপের। ২০১০ সাল থেকে অভিনেতার কেরিয়ারের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। এই পর্যায়ে কমবেশি সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ২০০৬ সাল থেকে নাকি সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রণদীপ। প্রায় তিন বছর সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ২০০৯ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দুই তারকা।
সুস্মিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে রণদীপ জানিয়েছিলেন, সারা জীবনে তিনি এক বার মাত্র নাটকের মহড়ায় যেতে পারেননি।
রণদীপের দাবি, সুস্মিতাই নাকি তাঁকে নাটকের মহড়ায় যেতে বারণ করেছিলেন। প্রেমিকার কথা শুনেই নাকি সেখানে যাননি বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। এই সিদ্ধান্তকে তিনি তাঁর জীবনে নেওয়া অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।
রণদীপ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘সুস্মিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার জীবনের সেরা ঘটনা। ওর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আমার পরিচিতি ছিল ঠিকই। কিন্তু আমি বড় মাপের তারকা ছিলাম না।’’
রণদীপের দাবি, সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তিনি অনেকটা সময় অপচয় করে ফেলেছিলেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘সম্পর্কের জন্য আমি অনেক সময় খরচ করতাম। বিচ্ছেদের পর নিজের জন্য সেই সময় পেয়েছিলাম। ভাল কাজে সেই সময় খরচ করেছি আমি।’’
সুস্মিতার সঙ্গে হঠাৎ কেন বিচ্ছেদ হয়ে যায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রণদীপ বলেছিলেন, ‘‘সম্পর্কে থাকাকালীন আমাদের দু’জনকে নিয়ে একে অপরের কোনও রকম সমস্যা হয়নি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বিচ্ছেদের পর কেউই কারও বিরুদ্ধে কোনও রাগ পুষে রাখিনি।’’
২০১০ সাল থেকে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই’, ‘সাহেব, বিবি অওর গ্যাংস্টার’, ‘জন্নত ২’, ‘জিস্ম ২’, ‘হিরোইন’, ‘মার্ডার ৩’, ‘রং রসিয়া’, ‘জন ডে’, ‘বম্বে টকিজ়’, ‘হাইওয়ে’, ‘কিক’, ‘উঙ্গলি’, ‘লাল রং’, ‘সর্বজিৎ’, ‘সুলতান’, ‘রাধে’, ‘বাঘি ২’-এর মতো বহু হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রণদীপকে।
শুধু হিন্দি ছবিতেই নয়, রণদীপ অভিনয় করেছেন ইংরেজি ভাষার ছবিতেও। ২০২০ সালে নেটফ্লিক্স ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় ‘এক্সট্র্যাকশন’। এই ছবিতে ক্রিস হেমসওয়ার্থের মতো হলি অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেন রণদীপ।
রণদীপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রোহমান শলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুস্মিতা। ২০১৮ সাল থেকে টানা তিন বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। ২০২১ সালে তাঁরা সম্পর্কে ইতি টানলেও এখনও তাঁদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে আইপিএল কর্তা ললিত মোদীর সঙ্গে নাম জড়ায় সুস্মিতার। ললিত তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় সুস্মিতার সঙ্গে নিজস্বী দিয়ে পোস্টও করেন। কানাঘুষো শোনা যায়, সুস্মিতা এবং ললিত নাকি বিয়েও করবেন।
পরে অবশ্য ললিত সমাজমাধ্যম থেকে তাঁর সঙ্গে সুস্মিতার ছবি সরিয়ে নেন। ললিতের সঙ্গে যে সুস্মিতার সম্পর্কে দাঁড়ি পড়েছে, এই ঘটনা মনে হয় তারই ইঙ্গিত বহন করেছিল। তবে এখন সুস্মিতার সঙ্গে প্রায় সব জায়গায় দেখা যায় রোহমানকে। যদিও দু’জনেই দাবি করেন, তাঁরা সম্পর্কে নেই। ভাল বন্ধু হিসাবে একে অপরের সঙ্গে রয়েছেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’। এই ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন রণদীপ হুডা। পাশাপাশি এই ছবির পরিচালনা এবং প্রযোজনার দায়িত্বেও পালন করেছেন তিনি।