Delhi Murder

প্রেমিকাকে খুনের পর ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে! ১৮ দিন ধরে দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দেন ঘাতক যুবক

প্রতিদিন রাত ২টোর সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেন আফতাব। আর শহরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার দেহের একটি করে টুকরো ফেলে দিয়ে আসতেন তিনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪৯
Share:
০১ ১৬

প্রেমের টানে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন ২৬ বছরের শ্রদ্ধা। ঘর বেঁধেছিলেন দিল্লিতে। স্বপ্ন ছিল যুগলে সুখেশান্তিতে দিন কাটাবেন।

০২ ১৬

স্বপ্নের ঘোর কাটতেও বেশি সময় লাগল না। প্রেমিকের সঙ্গে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকলেও নানা বিষয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছিল।

Advertisement
০৩ ১৬

বিয়ে করার জন্য তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুণাওয়ালাকে কয়েক দিন ধরেই জোরাজুরি করছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু আফতাব ‘লিভ ইন’ করারই পক্ষপাতী ছিলেন।

০৪ ১৬

প্রেম করার দিনগুলিতে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, পরে নাকি শ্রদ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না আফতাব। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল বিবাদ হয়। শ্রদ্ধা নিজের বাড়ি ফিরে যেতে চান।

০৫ ১৬

বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারের চাকরি ছেড়ে অন্য শহরের প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ে ঘর বাঁধুক, সেটা চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। এই সম্পর্কে তাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন।

০৬ ১৬

কিন্তু মেয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ রেখেছিলেন তাঁরা। প্রায় প্রতিদিনই দিল্লিবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে ফোনে কথা হত তাঁর বাবা-মায়ের।

০৭ ১৬

কয়েক দিন ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন শ্রদ্ধার পরিবার তাঁর সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। সব চেষ্টা বিফল হওয়ার পর শ্রদ্ধার বাবা মেয়ের খোঁজে মুম্বই চলে আসেন।

০৮ ১৬

মুম্বইয়ে শ্রদ্ধাদের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখেন, দরজা বন্ধ। তার পরই গত ৮ নভেম্বর স্থানীয় মেহরৌলি থানায় গিয়ে মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা।

০৯ ১৬

শ্রদ্ধার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

১০ ১৬

তদন্তে উঠে আসে রোমহর্ষক, নৃশংস ঘটনার কথা। শ্রদ্ধা ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তাঁর প্রেমিক আফতাবের উপরেই। তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসে ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা।

১১ ১৬

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাগের বশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন আফতাব। শুধু তা-ই নয়, শ্রদ্ধার দেহকে কেটে ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করেন তিনি।

১২ ১৬

শরীরের ৩৫টি টুকরোর পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনে ফেলেন আফতাব। সেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলিকে ঢুকিয়ে রাখা হয়।

১৩ ১৬

প্রতিদিন রাত ২টোর সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেন আফতাব। আর শহরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার দেহের একটি করে টুকরো ফেলে দিয়ে আসতেন তিনি।

১৪ ১৬

টানা ১৮ দিন ধরে এই কাজ করে গিয়েছেন তিনি। পুলিশের অনুমান, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এমন করেছিলেন তিনি।

১৫ ১৬

এই ঘটনার কথা শুনে কেউ কেউ আফতাবের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আফতাবের এই বয়ানের পরেই গত শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১৬ ১৬

পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির নানা প্রান্তে গিয়ে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement