মাইলি সাইরাস থেকে সেলেনা গোমেজ়— হলিউডের নামকরা তারকাদের সঙ্গে হরদম জড়িয়েছে গায়ক এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসের জীবনসঙ্গী নিক জোনাসের নাম। প্রতিটি সম্পর্কের স্থায়িত্ব ছিল খুবই কম। কিন্তু আমেরিকার এক মডেল অলিভিয়া ফ্রান্সেস কালপোর সঙ্গে দীর্ঘকালীন সম্পর্কে ছিলেন তিনি।
অলিভিয়া এবং নিকের জুটি দেখে সকলে ভেবেছিলেন, এই সম্পর্ক এত সহজে ভাঙবে না। বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত গড়াবে তাঁদের সম্পর্ক।
অলিভিয়াও এমনটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু টানা দু’বছর সম্পর্কে থাকার পর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে জনসমক্ষে এত দিন কিছুই জানাননি অলিভিয়া।
২০১৮ সালে যখন নিক এবং প্রিয়ঙ্কা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তখন অলিভিয়া দু’জনকে তাঁদের নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও জানান।
অলিভিয়া বলেন, ‘‘মন থেকে আপনাকে ভালবাসবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কঠিন। কারণ, সম্পর্ক টিকে না থাকার হাজার কারণ রয়েছে। আমি নিকের জন্য সত্যিই ভীষণ খুশি। সকলেই যেন ভালবাসা এবং আনন্দে থাকে। এটুকুই আমার চাওয়া।’’
তবুও তিনি নিক এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অলিভিয়া। সম্প্রতি ‘দ্য কালপো সিস্টার্স’ শোয়ের একটি পর্বে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি।
২০১৩ সালের গোড়া থেকে নিকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অলিভিয়া। শোয়ে তিনি জানান, সেই সময় নিকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি।
নিকের সঙ্গে থাকবেন বলে কিছু না ভেবেই লস অ্যাঞ্জেলসে চলে এসেছিলেন অলিভিয়া। অলিভিয়া বলেন, ‘‘তরুণ বয়সে প্রেমে পড়লে মনে হয়, সকলেই এমন আচরণ করে। প্রেমে অন্ধ হয়ে যায়। আর কোনও কিছু নিয়ে হুঁশ থাকে না। আমিও সে রকম ছিলাম।’’
অলিভিয়া জানান, তাঁর সব কিছু নিককে ঘিরেই ছিল। নিকের প্রেমিকা হিসাবেই বেশি পরিচিতি ছিল তাঁর। ‘‘আমি ভেবেছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি আমরা বিয়ে করে ফেলব’’, বললেন তিনি।
কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। লস অ্যাঞ্জেলসে আসার পর তাঁর কোনও নামী সংস্থার সঙ্গে তাঁর পরিচিতি ছিল না। নিক ছেড়ে যাওয়ার পর তাঁর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে, জানান অলিভিয়া।
‘‘রাতের পর রাত আমি ঘরের সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ভাবতাম, আমার কাছে কিছুই নেই। ঘর ভাড়া দেওয়া তো দূর, মাসের বাজার করার সামান্য টাকাটুকুও ছিল না আমার কাছে। কিছু দিন কেটে যাওয়ার পর আমার ঘোর কাটল। আমি বুঝতে পারলাম, এটা হাল ছাড়ার সময় নয়’’, বললেন তিনি।
তার পর ধীরে ধীরে নামী পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন অলিভিয়া।
সমাজমাধ্যমেও ফ্যাশন প্রভাবী হিসাবে নাম করেছেন তিনি।
অলিভিয়ার ছোটবেলার কাহিনি ছিল অন্য রকম। তাঁর বাবা বস্টনের এক রেস্তরাঁর মালিক ছিলেন।
কিন্তু তাঁর ঝোঁক ছিল মডেলিং এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার দিকে।
বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেননি তিনি।
বরং বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি। সেই সূত্রে দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন অলিভিয়া।
বর্তমানে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল) তারকা ক্রিস্টিয়ান ম্যাকাফ্রের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অলিভিয়া।
রেস্তরাঁ এবং একটি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও প্রচুর। ইতিমধ্যে ইনস্টাগ্রামে ৫২ লক্ষের কাছাকাছি অনুরাগী রয়েছে অলিভিয়ার।