মেডিক্যাল ছাত্র। ডাক্তারি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে চান। পেশা হিসাবে নয়, বরং শখের জন্যেই অভিনয় করতে চান এই চিকিৎসক। কিন্তু একই ব্যক্তি একসঙ্গে এত কিছু সামলাতে পারে কি? ‘স্টার্টিং ট্রাবলস’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের গল্প এটি।
এই সিরিজের অভিনেতার জীবনের বিভিন্ন সত্য ঘটনা এক একটি পর্বে অভিনয় করে দেখিয়েছেন জগদীশ চতুর্বেদী। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনা মিশিয়ে প্রতি পর্বে সুন্দর গল্প বুনেছেন তিনি।
কে এই জগদীশ চতুর্বেদী? বেঙ্গালুরুর নামী হাসপাতালে ইএনটি সার্জন হিসাবে কর্মরত তিনি। তবে, শুধুমাত্র ডাক্তারি পেশায় থেকে সারা জীবন কাটাতে চাননি জগদীশ। মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে রোগী দেখা শেষ হলে তাঁকে মঞ্চে দেখা যায়।
দর্শকঘেরা মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান জগদীশ। তখন তিনি আর কোনও চিকিৎসক নন। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তিনি যখন মঞ্চ থেকে নেমে আসতেন, তখন তাঁর অনুরাগীরা নিজস্বী তোলার সঙ্গে সঙ্গে নিজের শারীরিক সমস্যার কথাও বলতেন।
গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করতে তিনি নিজে থেকেই নানা যন্ত্রপাতি তৈরি করেছেন।
প্রযুক্তির সঙ্গে চিকিৎসার এই মেলবন্ধন জগদীশ এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন যে তিনি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখেন। তাঁর বানানো যন্ত্রগুলিও অভিনব।
গলায় ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না, তা সহজেই পরীক্ষা করা যাবে এমন যন্ত্র বানিয়ে তিনি গ্রামীণ এলাকার রোগীদের পরীক্ষা করেন।
ফোনের এ পারে বসে থেকেও চিকিৎসক রোগীদের চোখ, নাক ও কান পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ ক্যামেরাও তৈরি করেছেন জগদীশ।
তাঁর জন্য গ্রামেও খুব সহজেই এন্ডোস্কোপির মতো কঠিন পরীক্ষা করা যায়।
‘নক্সেনো’ নামে এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার ছাড়াই শিশুদের নাক, কান ও গলায় কিছু প্রবেশ করলে সহজে বার করা যায়।
বর্তমানে দেশের ৩৫ জন বিখ্যাত আবিষ্কর্তার মধ্যে জগদীশ অন্যতম। পেশার সঙ্গে নিজের শখও এমন ভাবে পূরণ করছেন যে অনেকের জীবনের আদর্শ হয়ে উঠেছেন তিনি।
ইউটিউবের মাধ্যমে তাঁর নিজের চ্যানেল থেকে প্রচুর ভিডিয়োও আপলোড করেন তিনি। তিনটি বইও লিখেছেন জগদীশ।