Rameswari

স্টান্ট করতে গিয়ে চোখে চোট, বলিউড ছাড়তে বাধ্য হন জিতেন্দ্র, মিঠুনের সুপারহিট নায়িকা

হিন্দি ছবি ছাড়াও ওড়িয়া, তেলুগু এবং পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করেছেন রামেশ্বরী। সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় এই নায়িকা এখন কী করছেন?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০০
Share:
০১ ১৭

সত্তরের দশক থেকে বলিউড কাঁপিয়ে রেখেছিল তারাচাঁদ বরজাতিয়ার প্রযোজনা সংস্থা ‘রাজশ্রী প্রোডাকশনস’। এই প্রযোজনা সংস্থা বলি ইন্ডাস্ট্রিতে যে অভিনেত্রীদের নিয়ে এসেছিল, তাঁরা সকলেই ডাকসাইটে সুন্দরী হিসাবে দর্শকমহলে পরিচিত ছিলেন। এই তালিকায় শীর্ষস্থানীয় ছিলেন তল্লুরি রামেশ্বরী। বলিউডে তিনি রামেশ্বরী নামেই বেশি পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

০২ ১৭

শুধু হিন্দি ছবিতেই নয়। ওড়িয়া, তেলুগু এবং পঞ্জাবি ছবিতেও অভিনয় করেছেন রামেশ্বরী। প্রায় প্রতিটি ছবিতে অভিনয় করেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। জিতেন্দ্র, মিঠুন, নাসিরুদ্দিন শাহের মতো অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

ছবি: সংগৃহীত

Advertisement
০৩ ১৭

যদিও ফিল্মজগতে আসা সহজ ছিল না রামেশ্বরীর। পরিবারের সদস্যরা কখনই চাইতেন না যে তিনি অভিনয় নিয়ে তাঁর কেরিয়ার তৈরি করুক। কিন্তু রামেশ্বরীর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল অভিনয়ের প্রতি।

ছবি: সংগৃহীত

০৪ ১৭

অন্ধ্রপ্রদেশের এক তেলুগু পরিবারে জন্ম রামেশ্বরীর। ছোট থেকেই সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন তিনি।পড়াশোনার পাশাপাশি সিনেমার প্রতি আগ্রহও ক্রমাগত বেড়ে চলেছিল তাঁর।

ছবি: সংগৃহীত

০৫ ১৭

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে রামেশ্বরী যখন কলেজে ভর্তি হলেন, সেই সময় তাঁর কলেজের সামনে একটি ছবির শুটিং চলছিল। চিত্রনাট্যের ভিত্তিতে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ চরিত্র হিসাবে কয়েক জন কলেজ পড়ুয়ার প্রয়োজন ছিল। তখন রামেশ্বরী এবং তাঁর বন্ধুদের বলা হয়ক্যামেরার সামনে শুধু হেঁটেচলে বেড়ানোর জন্য।

ছবি: সংগৃহীত

০৬ ১৭

সেই সময় রামেশ্বরী ক্যামেরার লেন্সের সামনে কাজ করার আদবকায়দার সঙ্গে পরিচিত হন। সেই সময় বলিপাড়ার প্রায় সব তারকারা পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে পড়া শেষ করে বলিপাড়ায় পা রাখতেন। রামেশ্বরী বুঝতে পারলেন, সিনেমায় কাজ করতে হলে তাঁকেও ওই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে। বাবা-মাকে না জানিয়েই ভর্তি হওয়ার ফর্ম ইউনিভার্সিটিতে জমা করেছিলেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

০৭ ১৭

সারা ভারতে ২০ হাজার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রামেশ্বরী ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক পান। এই খবর জেনে বেজায় খুশি হয়েছিলেন তিনি। তবে বাড়ি থেকে অনুমতি দেবে কি না সেই বিষয়ে সংশয় ছিল তাঁর।

ছবি: সংগৃহীত

০৮ ১৭

মা রাজি হয়ে গেলেও রামেশ্বরীর পক্ষে তাঁর বাবাকে রাজি করানো মুশকিল ছিল। পরিবারের সকলে যখন খেতে বসেছিলেন, সেই মুহূর্তে জলের গ্লাসের তলায় ইউনিভার্সিটির ফর্মটি রেখে দিয়েছিলেন রামেশ্বরী। তাঁর বাবা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে তার পর ফিল্ম সংক্রান্ত পড়াশোনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রামেশ্বরীকে। কিন্তু পরে অভিনেত্রীর বাবা রাজি হয়ে যান।

ছবি: সংগৃহীত

০৯ ১৭

রামেশ্বরী তেলুগু এবং ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন না। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর অভিনয়ের পাশাপাশি হিন্দি ভাষাও শেখেন তিনি। মুকেশ খন্না, নাসিরুদ্দিন শাহ, শক্তি কপূরের মতো অভিনেতারা সহপাঠী ছিলেন তাঁর।

ছবি: সংগৃহীত

১০ ১৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ হওয়ার দু’বছরের মধ্যেই ‘রাজশ্রী প্রোডাকশনস’-এর মতো নামী প্রযোজনা সংস্থার তরফে অভিনয়ের প্রস্তাব পান রামেশ্বরী। ১৯৭৭ সালে ‘দুলহন ওহি জো পিয়া মন ভায়ে’ নামের হিন্দি ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। প্রথম ছবিই বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়।

ছবি: সংগৃহীত

১১ ১৭

১৯৭৮ সালে ‘সীতামালক্ষ্মী’ নামের তেলুগু ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন রামেশ্বরী। এই ছবিতে অভিনয়ের পর দক্ষিণী ফিল্মজগতে তাঁর সুনাম তৈরি হয়। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। মিঠুন, জিতেন্দ্রের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

১২ ১৭

কিন্তু রামেশ্বরীর জীবনে এই জনপ্রিয়তা বেশি দিন থাকেনি। ১৯৭৯ সালে ‘সুনয়না’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করছিলেন রামেশ্বরী। শুটিংয়ের কাজ প্রায় শেষের পথে, সেই মুহূর্তে একটি স্টান্ট দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। ঘোড়ার পিঠে চড়ার একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে হত রামেশ্বরীকে। ঠিক তখনই বিপত্তি ঘটে।

ছবি: সংগৃহীত

১৩ ১৭

ওই ঘটনার আগে রামেশ্বরী কখনও ঘোড়ার পিঠে ওঠেননি। পেশার খাতিরে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলেও কয়েক সেকেন্ড পর মাটিতে পড়ে যান তিনি। মুখে আঘাত পান রামেশ্বরী। সারা মুখ ফুলে যায়। শুধু তা-ই নয়, চোখ থেকেও রক্ত বেরোতে শুরু করে অভিনেত্রীর। রামেশ্বরী চোখ দিয়ে অভিনয় করতে পারতেন বলে বলিপাড়ায় তাঁর সুখ্যাতি ছিল। চোখে আঘাত পাওয়ার পরেও তিনি হাতে থাকা ছবির কাজ শেষ করে চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কে যান।

ছবি: সংগৃহীত

১৪ ১৭

চিকিৎসার পর মুম্বইয়ে ফিরে আসেন রামেশ্বরী। কিন্তু অভিনয়ের সে রকম কোনও প্রস্তাব আর পাননি তিনি। ছোটখাটো পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

১৫ ১৭

বলিপাড়ায় কানাঘুষো চলতে থাকে, রামেশ্বরী ভীষণ ঠোঁটকাটা স্বভাবের। মুখের উপর নাকি কথা শুনিয়ে দেন। সেই কারণেই তাঁকে কেউ কাজ দিতে চাইতেন না। চোখের চিকিৎসা হওয়ার পরে আর আগের মতো কাজ করতে পারবেন না বলেও তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

ছবি: সংগৃহীত

১৬ ১৭

তাই ফিল্মজগত থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরতে থাকেন রামেশ্বরী। পরে সহপাঠী দীপক শেঠের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। দীপক পঞ্জাবি ফিল্মজগতের প্রযোজক ছিলেন। বিয়ের পর দীপকের প্রযোজনায় একটি পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয়ও করেন রামেশ্বরী।

ছবি: সংগৃহীত

১৭ ১৭

স্বামী এবং দুই ছেলের সংসার নিয়েই ব্যস্ত রামেশ্বরী। খুব কম সংখ্যক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বর্তমানে অভিনয়জগৎ থেকে সরে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রামেশ্বরী।

ছবি: সংগৃহীত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement